সন্দেহভাজনের বিদেশযাত্রার বিষয়ে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চায় দুদক

দুর্নীতি মামলার আসামি বা সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির উপর সুনির্দিষ্ট বিধি বা আইন প্রণয়ন না করা পর্যন্ত বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে দুদক নয়, সিদ্ধান্ত নেবেন বিশেষ জজ আদালত-হাইকোর্টের এ রায় স্থগিত চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
সোমবার আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার বিচারপতি ওবায়দুল হাসান আবেদনটি শুনানির জন্য ২৮ মার্চ দিন রেখেছেন। আর ওই দিন পর্যন্ত নরসিংদীর আতাউর রহমান ওরফে সুইডেন আতাউর রহমান বিদেশ যেতে পারবেন না।
আদালতে আইনজীবী খুরশীদ আলম খান দুদকের পক্ষে ছিলেন। অন্যপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট-অন-রেকর্ড হাসিনা আক্তার।
পরে খুরশীদ আলম খান বলেন, ‘ওই রায় স্থগিত চেয়ে রোববার আবেদন করেছিলাম। সোমবার শুনানির জন্য তালিকায় ছিল। কিন্তু অপরপক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করায় শুনানির জন্য ২৮ মার্চ দিন রেখেছেন আদালত। আর ওই দিন পর্যন্ত বিদেশ যেতে পারবেন না নরসিংদীর আতাউর রহমান ওরফে সুইডেন আতাউর রহমান।’
১৬ মার্চ বিদেশ যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নরসিংদীর আতাউর রহমান ওরফে সুইডেন আতাউর রহমানের করা এক রিট আবেদনে জারি করা রুলের ওপর রায় দেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ দুদকের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার চিঠি অবৈধ ঘোষণা করেন এবং অভিমতে বলেন, সুনির্দিষ্ট বিধি বা আইন প্রণয়ন না করা পর্যন্ত দুর্নীতি মামলার আসামি বা সন্দেহভাজন কোনো ব্যক্তির বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে দুদক নয়, সিদ্ধান্ত নেবেন বিশেষ জজ আদালত। তবে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ আদেশ দেওয়ার সময় প্রয়োজনীয় গাইডলাইন ঠিক করে দেবেন আদালত।
হাইকোর্ট বলেছেন, বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার বিষয়ে দুদকের সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধি নেই। এ কারণে এ বিষয়ে দ্রুত সুনির্দিষ্ট আইন বা বিধিমালা করা প্রয়োজন। তাই আশা করছি, এ বিষয়ে দুদক বা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আইন বা বিধি করার বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।দুদক ওই রায় স্থগিত চেয়ে আপিল বিভাগে আবেদন করে।
২০২০ সালের ২৪ আগস্ট আতাউর রহমানের সম্পদের তথ্য চেয়ে নোটিশ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। এ নোটিশের পর ২২ অক্টোবর তিনি তার সম্পদের তথ্য দুদকে দাখিল করেন। এরপর দুদক অনুসন্ধানে নামে। এ অনুসন্ধানকালে দুদক গত বছরের ২০ ডিসেম্বর আতাউর রহমানের বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে পুলিশের বিশেষ শাখায় (এসবি) চিঠি দেয়। ওই চিঠির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আতাউর রহমান রিট করেন।