বীর মুক্তিযোদ্ধাকে গার্ড অব অনার ছাড়া দাফনের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ

কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ‘গার্ড অব অনার’ ছাড়া দাফনের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের (জামুকা) মহাপরিচালককে (ডিজি) বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
একইসঙ্গে ওই বীর মুক্তিযোদ্ধাকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা প্রদানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
এর আগে গত ৩১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়া দাফনের ঘটনা তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে দ্রুত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদারের কবরস্থানে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়।
প্রয়াত মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রানা সিকদারের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ রিট দায়ের করেন।
মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের সচিব, কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
ওই রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ‘গার্ড অব অনার’ ছাড়া দাফনের ঘটনায় উষ্মা প্রকাশ করেন হাইকোর্ট। এসময় আদালত বলেন, গার্ড অব অনার ছাড়া দাফন করে মুক্তিযোদ্ধাকে অপমান করা হয়েছে। এটা সহ্য করা যায় না।
একই সঙ্গে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদারকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ছাড়া দাফনের ঘটনা তদন্তে ও জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রুল জারি করেন আদালত।
প্রসঙ্গত, গত ২৮ জানুয়ারি রাতে বাজিতপুর পৌরসভার দক্ষিণ রাবারকান্দির বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মোতালেব শিকদার মারা যান। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করার পর পুলিশ উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। এ জন্য মুক্তিযোদ্ধাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া যায়নি। পরে ২৯ জানুয়ারি বিকালে স্থানীয় রাবারকান্দি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। তবে তার জানাজায় গার্ড অব অনার না দেওয়ায় এলাকাবাসীর মধ্যে বাগবিতণ্ডা ও উত্তেজনার ঘটনা ঘটেছে।