জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির পর জামিন চাইতে আদালতে হাজির হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
আদালতে হাজিরা দিতে মঙ্গলবার (০৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে রওনা দিয়ে সকাল ১১টার দিকে আদালতে উপস্থিত হন খালেদা জিয়া।
রাজধানীর বকশিবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত ঢাকার পঞ্চম বিশেষ আদালতে জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আবেদনের শুনানি চলছে। খালেদার পক্ষে শুনানি করছেন ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পক্ষে রয়েছেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।
এর আগে গত ৩০ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) বামদের ডাকা অর্ধদিবস হরতালের কারণে আদালতে যেতে পারেননি খালেদা জিয়া। পরে তার আইনজীবীরা দুপুর ২টায় হাজির হওয়ার আবেদন করেন। কিন্তু সেই আবেদন নাকচ করে দিয়ে বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
৫, ৬ ও ৭ ডিসেম্বর অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার যুক্তিতর্কের জন্য দিন ধার্য করেন আদালত। একই সঙ্গে চ্যারিটেবল মামলায় সাফাই সাক্ষীর জন্যও দিন ধার্য করা হয়।
গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করায় খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে অসম্পূর্ণ বক্তব্য সমাপ্ত করার সুযোগ পাচ্ছেন না। নতুন করে সুযোগ পেতে তাকে আদালতে আবেদন করতে হবে।
এর আগে টানা ৬ কার্যদিবস আদালতে আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেন বিএনপি প্রধান।
২০১০ সালের ০৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।
এছাড়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগে ২০০৮ সালের ০৩ জুলাই দুদক রমনা থানায় মামলা করে। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয় এই মামলায়।
জজকোর্ট প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম