ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় ব্যারিস্টার নাজমুল হুদার খালাসের রায় বাতিল করে পুনঃশুনানির জন্য আপিল বিভাগের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট (সামারিলি) সরাসরি খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার (১০ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
রিটের শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, আপিল বিভাগের কোনো আদেশের বৈধতা নিয়ে হাইকোর্ট শুনানি করতে পারেন না।
দুই কোটি ৪০ লাখ টাকা ঘুষ গ্রহণের মামলায় গত ৮ নভেম্বর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদাকে বিচারিক আদালতের দেয়া সাত বছরের কারাদণ্ডের সাজা কমিয়ে চার বছরের কারাদণ্ড দেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আদালত তাকে ৪৫ দিনের মধ্যে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
একই মামলায় তার স্ত্রী সিগমা হুদার কারাগারে থাকার সময়টি সাজা বলে গণ্য করে তিন বছরের কারাদণ্ড থেকে বাকিটা মওকুফ করেন আদালত। আপিলের পুনঃশুনানি শেষে বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
২০০৭ সালের ২৭ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত মামলাটির রায়ে নাজমুল হুদাকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং আড়াই কোটি টাকা জরিমানা করেন। তার স্ত্রী সিগমা হুদাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ওই রায়ের বিরুদ্ধে নাজমুল হুদা ও সিগমা হুদা আপিল করলে ২০১১ সালের ২০ মার্চ তাদের খালাস দেন হাইকোর্ট।
পরে দুদক আপিল করলে ২০১৪ সালের ১ ডিসেম্বর খালাসের রায় বাতিল করে হাইকোর্টে পুনঃশুনানির নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ। এরপর হাইকোর্টে এ মামলার পুনঃশুনানি হয়। পুনঃশুনানির আপিল বিভাগের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন নাজমুল হুদা।
নাজমুল হুদা ও তার স্ত্রী সিগমা হুদার বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২১ মার্চ দুদকের উপ-পরিচালক মো. শরিফুল ইসলাম ধানমন্ডি থানায় মামলাটি দায়ের করেন।
সুপ্রিম কোর্ট প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম