যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত গোলাম মোহাম্মদ খান পাঠান বিমলের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) হিসেবে থাকা অবৈধ ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রায় দেন বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ খান পাঠান বিমল নেত্রকোনা দায়রা জজ অদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ছিলেন।
আদালতে রিট আবেদনটি দায়ের করেন নেত্রকোনা সদরের বাসিন্দা মো. মোশারফ হেসেন।
আদালতে বিমলের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল জেসমিন সামসাদ।
আইনজীবীরা জানান, শ্বশুরকে হত্যার দায়ে ১৯৮৬ সালে নেত্রকোনা দায়রা জজ আদালতে গোলাম পাঠানের যাবজ্জীবন সাজা হয়। হাইকোর্টও বিচারকি আদালতের রায় বহাল রাখেন। এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগেও আবেদন করেন বিমল। তবে আপিল নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই রাষ্ট্রপতির মার্জনা পেয়ে ১৯৯৫ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পান বিমল।
২০০৯ সালে তিনি পাবলিক প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পান। সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তির পিপি পদে নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করেন মো. মোশারফ হেসেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ৮ আগস্ট পিপির কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দিয়ে রুল জারি করেন।
রায়ের পরে আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন জানান, রুল অ্যাবসুলেট হয়েছে। এ কারণে গোলাম মোহাম্মদ খান পিপি পদে ফিরতে পারছেন না।
সুপ্রিমকোর্ট প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম