শিক্ষাখাতে দুর্নীতি বন্ধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে ৩৯টি সুপারিশ পাঠিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুর্নীতি বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এসব সুপারিশ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীর বরাবরে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমরা শিক্ষাখাতে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশ্নপত্র ফাঁস, নোট অথবা গাইড, কোচিং বাণিজ্য, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো নির্মাণ, এমপিওভুক্তি, নিয়োগ ও বদলিসহ বিভিন্ন প্রকার দুর্নীতির উৎস এবং তা বন্ধের জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব বরাবরে ৩৯টি সুনির্দিষ্ট সুপারিশ করেছি।’
তিনি জানান, শিক্ষাখাতে দুর্নীতি প্রতিরোধের লক্ষ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে গঠিত প্রাতিষ্ঠানিক টিমের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ সুপারিশমালা তৈরি করা হয়েছে।
তিনি জানান, পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস দুর্নীতির নতুন সংযোজন। অবৈধ অর্থের বিনিময়ে কতিপয় দুর্নীতিপরায়ণ কর্মকর্তা এ জাতীয় অপরাধে সংশ্লিষ্ট থাকেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। প্রশ্নপত্র ফাঁসে শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ সরকারি প্রেস (বিজি প্রেস), ট্রেজারি এবং পরীক্ষা কেন্দ্রের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তার সঙ্গে কোচিং সেন্টার, প্রতারক শিক্ষক ও বিভিন্ন অপরাধী চক্র যুক্ত থাকতে পারেন বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
নিজস্ব প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম