সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে চোরের উপদ্রপ বেড়েছে। প্রতিদিন ঘটছে চুরির ঘটনা। সবচেয়ে বেশি চুরি হচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী ভবনে। আইনজীবীদের চেম্বার ভাঙা থেকে প্রাইভেট কার পর্যন্ত চুরি হচ্ছে দেশের সর্বোচ্চ আদালেত অঙ্গনে। ল্যাপটপ, মোবাইল ফোন, জুতা-সেন্ডেল চুরি হচ্ছে অহরহ। নিয়মিত চুরির ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ নথির নিরাপত্তা নিয়ে আতঙ্ক বোধ করছেন আইনজীবীরা।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এনেক্স এক্সটেনশন ভবনের ৩০৮ রুমের তালা খুলে ভেতরে প্রবেশ করে চোর। ওই রুমে থাকা চার আইনজীবীর টেবিলের ড্রয়ার ভেঙে সেখানে থাকা টাকা নিয়ে যায় চোর।
এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন গণমাধ্যমকে বলেন, ৩০৮ নম্বর রুমের চুরির ঘটনায় সমিতির ভাইস প্রেসিডেন্টকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
৩০৮ নম্বর রুমের আইনজীবী মাহমুদুল আরেফিন স্বপন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘সেখানে চারজন আইনজীবীর চেম্বার রয়েছে। রাতে চোর রুমে ঢুকে আমাদের চার আইনজীবীর ড্রয়ারই ভেঙে ফেলে। এতে যে টাকা-পয়সা ছিল সব নিয়ে গেছে।’
যদিও কোনো নথি চুরি যায়নি, কিন্তু এ ঘটনায় আতঙ্ক বোধ করছেন মাহমুদুল আরেফিন। তিনি বলেন, ‘অর্থ চুরিটা বড় কথা নয়, সবচেয়ে আতঙ্কের বিষয় হলো, আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নথি থাকে। একটি হারিয়ে গেলে অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে। এ জন্য আমাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। চেম্বারে কিছু রেখে যেতেই ভয় করছে। আমরা বিষয়টি আইনজীবী সমিতিকে জানিয়েছি।’
গত ৬ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাহী কমিটির সদস্য কুমার দেবুল দের প্রাইভেটকার চুরি হয়ে যায়। পরে অবশ্য গাড়িটি উদ্ধার করে পুলিশ।
দেশের এই সর্বোচ্চ আদালত অঙ্গন থেকে প্রায়ই চুরি হচ্ছে মোটারসাইকেল। আইনজীবী ভবনে অবস্থিত ল রিপোর্টার্স ফোরামের রুম থেকেও ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে বেশ কয়েকবার। আর মসজিদ থেকে জুতা চুরির ঘটনা নৈমিত্তিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ঢাকাটাইমস