ছাত্রলীগ নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা মামলার দুই নাম্বার আসামী ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেনকে দুই দিনের রিমান্ড করেছেন আদালত।
আজ বুধবার (২১ নভেম্বর) চট্টগ্রাম জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শিপলু কুমার দে এর আদালত এই নির্দেশ দেন।
প্রসিকিউশন পক্ষ পাচঁ দিনের রিমান্ড আবেদন করে শুনানি করেন। এই সময়ে দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর বড় বোন অ্যাড. জুবাইদা সরওয়ার নিপাসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবী বিভিন্ন তথ্য প্রমান সহকারে প্রসিকিউশন পক্ষকে সমর্থন দিয়ে শুনানীতে অংশ নেন। আসামী পক্ষে একজন শুনানীতে অংশ নেন। আদালত উভয় পক্ষে শুনানি শেষে দুই রিমান্ড এবং ২৪ তারিখের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার আদেশ দেন।
উল্লেখ্য দিয়াজ হত্যা মামলার আসামীরা হাইকোর্ট জামিনের আবেদন করেছিল। উচ্চ আদালত আসামীদের নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করার শর্তে ছয় সপ্তাহের জামিন দিয়েছিল। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী ছয় সপ্তাহের মেয়াদকাল শেষে গত ১৮ নভেম্বর চট্টগ্রাম চীপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুন্সি মশিয়ার রহমান এর আদালতে আত্বসমর্পন করেন আনোয়ার হোসেন। তিনি মামলার দুই নাম্বার আসামী এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর।
এসময় আদালতের বাইরে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল। দিয়াজ এর বড় বোন অ্যাড. জুবাইদা সরওয়ার নিপা ল’ইয়ার্সক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে বলেন, “আমরা ন্যায় বিচারের জন্য এবং দিয়াজ এর হত্যাকারীদের শাস্তির জন্য দাবী জানিয়ে আসছি। আজ দুই নাম্বার আসামী আনোয়ার হোসেন পাচঁ দিনের রিমান্ড আবেদন করে প্রসিকিউশন। আদালত উভয় পক্ষে শুনানী শেষে আনোয়ার হোসেন এর দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
অন্যান্য সকল আসামীদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানিয়ে জুবাইদা সরওয়ার নিপা আরো বলেন, “আমার পরিবারের সদস্যরা নিরাপদ নয়। দিয়াজ কে হত্যা করার আগে তারা আমাদের বাড়ীঘর ভাংচুর করে লুটপাট করেছিল। আমার ভাইকে হত্যার পর প্রকাশ্যে বিভিন্ন সময়ে এই মামরার বাদী আমার মা এবং আমাকে হুমকি দিয়ে আসছে। আপনারা দেখেছেন হত্যাকারী আলমগীর টিপু এবং জিসান এর নেতৃত্বে অস্ত্র নিয়ে আসামীর পক্ষে আদালতে বাইরে বিক্ষোভ করেছিল এবং আমাদের ঘিরে ফেলে। পুলিশ এসে আমাদের নিরাপত্তা দিয়ে বার অফিসে নিয়ে গিয়েছিল।”
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করে অ্যাড জুবাইদা সরওয়ার নিপা ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে আরো বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ম অনুযায়ী আনোয়ার হোসেন বহিস্কার হওয়ার কথা। কিন্তু এখনো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কোন পদক্ষেপ নেননি। আমি “দ্যা ইউনিভার্সিটি এমপ্লয়িজ (এফিসিয়েন্সি এন্ড ডিসিপ্লিন) স্ট্যাটুস এন ১৫ (এ) ক্লজ” মতে আনোয়ার হোসেন এর বরখাস্ত (সাসপেন্ড) দাবী করছি ।”
চট্টগ্রাম থেকে রায়হান ওয়াজেদ চৌধুরী/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম