যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শরীফ আব্দুর রাকিব (৬৪) মারা গেছেন ( ইন্না লিল্লাহি… রাজিউন)। বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর গুলশানের অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসকরা তার লাইফ সাপোর্ট খুলে দেন। এর প্রায় এক ঘণ্টা পর রাত ১০টায় তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
বুধবার রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার পর রাকিবকে অ্যাপোলো হাসপাতালে নেওয়া হয়। তখন থেকে তিনি সিসিইউতে লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। রাকিবের স্বজনরা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বাদ জুমা যশোর কেন্দ্রীয় ঈদগাহে তার নামাজে জানাজা এবং জেলার কারবালা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে।
গোপালগঞ্জ জেলা সদরের গোপীনাথপুরের ছেলে রাকিব ১৯৭২ সালে পড়াশুনার সূত্রে যশোর আসেন। যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন কলেজে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হন তিনি। এর পর আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দীর্ঘ পথচলা তার। একটানা ১৮ বছর তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এরই মাঝে যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির একাধিকবার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন এই আইনজীবী। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি যশোর বারের সভাপতি ছিলেন।
মরহুমের ছোট শ্যালক শহিদ হোসেন বাবু ও তার স্ত্রী শাওলী সুলতানা জানান, বুধবার রাত ১১টার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হন শরীফ আব্দুর রাকিব। সে সময় তিনি রাজধানীর উত্তরায় বড় মেয়ে মেহনুমা জেবিন রাখির বাসায় ছিলেন। রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাকে গুলশানের অ্যাপোলো হাসপাতালে নেওয়া হয়। তখন থেকেই তিনি হাসপাতালটির সিসিইউতে ছিলেন।
শরীফ আব্দুর রাকিব বেশ কয়েক বছর ধরে কিডনি জটিলতায়ও ভুগছিলেন। একদিন পর পর তাকে ডায়ালাইসিস নিতে হতো।
রাকিব স্ত্রী, দুই মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার স্ত্রী আলেয়া আফরোজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম সরকারের সময় সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। বড় মেয়ে রাখি দন্ত্যচিকিৎসক। ছোট মেয়ে নওশাবা জেবিন রিয়া বুটিক ব্যবসায়ী। দুই মেয়েই ঢাকায় বসবাস করেন। বড় জামাই আসাদুজ্জামান বাবু সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। ছোট জামাই খালিদ বিন শামস পাইলট।