চট্টগ্রামের কর্ণফুলী থানা এলাকায় প্রবাসীর বাড়িতে ঢুকে চার নারীকে ধর্ষণের ঘটনায় আংশিক ব্যর্থতা স্বীকার করেছে পুলিশ। সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ স্বীকার করেছে, ধর্ষণের ঘটনায় তাৎক্ষণিক দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের ক্ষেত্রে পুলিশ আরও সক্রিয় হতে পারতো। মামলা নেওয়া ও আসামিদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে কর্ণফুলী থানার ওসির আরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিৎ ছিল বলে মত দিয়েছেন পুলিশ কর্মকর্তারা।
এক সংবাদ সম্মেলনে নগর পুলিশের উপ কমিশনার (বন্দর) হারুন-উর-রশিদ হাযারী বলেন, ‘ঘটনার পর আমাদের যে ভূমিকা সেক্ষেত্রে, মামলা নেওয়া কিংবা আসামি গ্রেফতারের ক্ষেত্রে আংশিক ব্যর্থতা ছিল, এটা অস্বীকার করার উপায় নেই। যেহেতু ঘটনাটি খুবই স্পর্শকাতর, আরও গুরুত্ব দেওয়া উচিৎ ছিল।’
এ সময় কর্ণফুলী থানার ওসির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে হাযারী বলেন, বিষয়টি সিএমপি কমিশনার স্যারকে জানাব। উনি এখন আসামি গ্রেফতারের বাইরে কোন কথাই শুনতে চাচ্ছেন না। তারপরও স্যার নিশ্চয়ই এই ব্যাপারে ব্যবস্থা নেবেন।
মি. হাযারী যখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন তখনই তাঁর পাশে বসে ছিলেন কর্ণফুলীর ওসি ছৈয়দুল মোস্তফা। সংবাদ সম্মেলনে তার বিরুদ্ধে একের পর এক অভিযোগ উঠলেও তিনি নিরুত্তর থাকেন।
সম্মেলনে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-বন্দর) আরেফিন জুয়েল বলেন, ‘কার গাফেলতি কম, কার বেশি সেটা বিষয় নয়। ঘটনার সঠিক তদন্ত এবং আসামিদের গ্রেফতারেই আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আইনগত বিষয় নিয়ে আপনাদের সব প্রশ্নের জবাব দেওয়া এই মুহুর্তে সম্ভব না। প্রতিটি ঘটনার পেছনে অনেক ঘটনা থাকে। তবে এটুকু বলি, আমরা আসামি গ্রেফতারের সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’
প্রসঙ্গত, গত ১২ ডিসেম্বর গভীর রাতে কর্ণফুলীর বড় উঠান ইউনিয়নের শাহ মিরপুর প্রামে একটি বাড়িতে ডাকাতি করতে গিয়ে বাড়ির চার নারীকে ধর্ষণ করে ডাকাতরা। চারজনের মধ্যে তিনজন প্রবাসী তিন ভাইয়ের স্ত্রী, অন্যজন তাদের বাড়িতে বেড়াতে আসা ননদ।