“দ্য শীপ ব্রেকিং ইন্ডাস্ট্রীজ অব বাংলাদেশ : এ কোয়েস্ট ফর এনভাইরনমেন্টাল জাস্টিস ” শীর্ষক এক সেমিনার আজ সোমবার (২৫ নভেম্বর) চট্রগ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
‘দ্যা সোসাইটি ফর ক্রিটিক্যাল লিগ্যাল স্টাডিজ’ (এসসিএলএস) এর আয়োজনে দৈনিক আজাদী পত্রিকার কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে কীনোট স্পিকার হিসাবে উপস্থিত ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার ‘কুইন্সল্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলোজি’ এর সিনিয়র লেকচারার ড. সাইফুল করিম।
চট্রগ্রামের সীতাকুণ্ডস্থ দেশের একমাত্র জাহাজ ভাঙ্গা শিল্পে বিভিন্ন আইনের প্রয়োগ ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিশ্লেষণধর্মী এক অনবদ্য উপস্থাপনা করলেন কীনোট স্পিকার ড.সাইফুল করিম। তিনি পরিবেশ বিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কনভেনশন, আর্টিকেল এবং ইন্সট্রুমেন্ট এর আলোকে জাহাজভাঙা শিল্প বা শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড এর কারনে পরিবেশের ক্ষতি, শ্রমিকদের অকালমৃত্যু বা পঙ্গুত্ববরণ, মুনাফালোভী ইয়ার্ড মালিক, বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংগঠন ও সংস্থা, সরকার, মন্ত্রনালয় এবং এনজিও সংগঠনের উপর আলোকপাত করেন।
জানা যায় ১৯৭২ সালের পর থেকেই বাংলাদেশে শিপ ব্রেকিং শিল্পের ব্যাপক প্রসার ঘটতে থাকে। ১৯৭৯ সাল থেকে এই ব্যবসা জমজমাট রূপ নেয়। বর্তমানে ব্যাপকতা চট্টগ্রাম মহানগরীর উপকন্ঠ ফৌজদারহাট উপকূলীয় এলাকা থেকে কুমিরা পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার উপকূল এলাকায় বিস্তার লাভ করে। কিন্তু ষাট এর দশকে আকস্মিক ও অপরিকল্পিতভাবে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল এই জাহাজ ভাঙা শিল্পের ঠিক তেমনিই রয়ে গেছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা। সময়ের চাহিদানুসারে আন্তর্জাতিক মানঅনুযায়ী শিপ ব্রেকিং করতে ব্যর্থ হচ্ছে এই গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরটি।
চট্রগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক নির্মল কুমার সাহার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আমেনা বেগম, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবি ব্যারিস্টার আক্কাস চৌধুরী, ইষ্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের প্রভাষক নাবিলা ফারহিন, সাদার্ন বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিভাগের প্রভাষক মারিয়া কিবরিয়া সহ বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় শাতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন।
রায়হান ওয়াজেদ চৌধুরী/ চট্টগ্রাম প্রতিনিধি