প্রধান বিচারপতি নিয়োগের আগে আপিল বিভাগের ৫ বিচারপতির রিভিউ শুনানিতে কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
আজ মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেছেন, সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আপিল বিভাগে নতুন বিচারপতি নিয়োগের প্রয়োজন দেখছি না। মামলাটির আপিল শুনানিতে থাকা যে পাঁচজন বিচারপতি বর্তমানে আপিল বিভাগে আছেন, তারাই শুনানি করতে পারবেন।
তিনি বলেন, যতদূর সম্ভব যেই বেঞ্চ এটা শুনানি করেছিল, সে বেঞ্চই এটার শুনানি করবে। সে ক্ষেত্রে আমার মনে হয় না যে নতুন করে অ্যাপয়েনমেন্ট নেওয়ার প্রয়োজন আছে এ মামলার এই রিভিউ পিটিশন শুনানি করার জন্য।
অন্যদিকে প্রধান বিচারপতি কবে নিয়োগ হবে এ ব্যাপারে তার কাছে কোনো সঠিক তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, আমার কাছে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য নাই যে রাষ্ট্রপতি কবে নিয়োগ দেবেন। সংবিধানের ৫৫ অনুচ্ছেদের পরিষ্কারভাবে বলা আছে এটা রাষ্ট্রপতির এখতিয়ার।
তিনি আরো বলেন, আমি সত্যি সত্যি জানি না যে উনি কবে নিয়োগ দেবেন কিন্তু আশা করবো খুব শিগগিরই হবে। নতুন বিচারপতির জন্য এই রিভিউ পিটিশনের শুনানি বন্ধ থাকবে না।
অধস্তন বিচারকদের শৃঙ্খলা-বিধির মাধ্যমে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নষ্ট হয়নি বলে মন্তব্য করে আনিসুল হক বলেন, মাজদার হোসেন মামলার পর একটি শৃঙ্খলা-বিধির প্রয়োজন ছিল। বিচার বিভাগ স্বাধীন হওয়ার দিন থেকেই এর প্রয়োজন অনুভব হয়। কিন্তু কেউ এটা তৈরি করেনি। আইন মন্ত্রণালয় এটা করেছে।
আইনমন্ত্রী বলেন, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ এবং মাজদার হোসেন মামলার পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী এটা করা হয়েছে। এতে বিচার বিভাগের কোনো স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হয়নি। বিচার বিভাগের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার যে কমিটমেন্ট, তা আর কোনো সরকারের ছিল না। তাই আওয়ামী লীগই বিচারবিভাগের স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারে।
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুসহ ১৮ জনকে হত্যার পর ২১ বছর পর্যন্ত যারা একটি এফআইআরও দায়ের করতে দেয়নি তাদের মুখে বিচার বিভাগের স্বাধীনতার কথা শোভা পায় না’।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোহম্মদ জহিরুল হক, জেএটিআই এর পরিচালক বিচারপতি মুসা খালেদ, পরিচালক (প্রশিক্ষণ) গোলাম কিবরিয়া প্রমুখ।
নিজস্ব প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম