উল্টো পথে চলা একটি বিলাসবহুল বিএমডব্লিউ গাড়ি আটকে বিপাকে পড়েছিলেন সার্জেন্ট মোহাম্মদ মহিবুল্লাহ। গাড়িটির মালিক দাবিদার বেসরকারি ঢাকা বিজ্ঞান কলেজের মালিক ও অধ্যক্ষ এস এ মালেক সার্জেন্টের ওপর চড়াও হন। এরপর সার্জেন্টের কাছ থেকে কাগজপত্র ছিনিয়ে নেন এবং গাড়ি নিয়ে চলে যান। তবে কিছুদূর যাওযার পরে শাহবাগ থানার পুলিশ হাইকোর্ট এলাকা থেকে গাড়িটি আটক করে। গত রোববার এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মহিবুল্লাহ পুলিশের ওপর হামলা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে এস এ মালেকের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন। পরে আদালত তাঁকে (মালেক) কারাগারে পাঠান।
জার্মানিতে তৈরি বিএমডব্লিউ বিলাসবহুল গাড়ি হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে গাড়ির দাম, ট্যাক্স সবকিছু মিলিয়ে কোটি টাকার নিচে বিএমডব্লিউ কেনা যায় না। মালেকের গাড়িটি গুলশানের একটি প্রতিষ্ঠানের নামে নিবন্ধিত। কিন্তু গাড়ির নিবন্ধনের সনদ (ব্লু বুক) পুলিশকে দেখাতে পারেননি মালেক। তবে গাড়িটির ট্যাক্স পরিশোধ, ফিটনেস ও ইনস্যুরেন্সের সনদ পেয়েছে পুলিশ।
শাহবাগ থানার ওসি আবুল হাসান বলেন, মামলার পর এস এ মালেককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান। তাঁর ব্যবহৃত বিএমডব্লিউ গাড়িটি জব্দ করে থানায় রাখা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, রোববার সার্জেন্ট মহিবুল্লাহ নিমতলি এলাকায় কর্তব্য পালন করছিলেন। বেলা একটার দিকে উল্টো পথে একটি গাড়ি আসতে দেখে তিনি তা থামান। তিনি গাড়ির কাগজ চাইলে গাড়ির চালক ট্যাক্স টোকেন ও ফিটনেসের কাগজ বের করে দেন। এরপর সার্জেন্ট বাকি কাগজ চাইলে চালক ইনস্যুরেন্সের সনদ বের করে দেন। সার্জেন্ট ইনস্যুরেন্স সনদ জব্দ দেখিয়ে মামলা করতে গেলে এস এ মালেক গাড়ি থেকে বের হয়ে এসে সার্জেন্টকে হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি সার্জেন্টের ইউনিফর্মের কলার চেপে ধরে নামের ব্যাজটি ছিড়ে ফেলেন। পরে তিনি সার্জেন্টের হাত থেকে ওয়্যারলেস ও জব্দ করা ইনস্যুরেন্সের কাগজ ছিনিয়ে নিয়ে গাড়িতে উঠে চলে যান। সার্জেন্ট তাঁর সহকর্মীর ওয়্যারলেসে শাহবাগ থানাকে বিষয়টি জানালে হাইকোর্টের সামনে পুলিশ গাড়িটি আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
নগর প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম