অনুসন্ধানে পাওয়া যায়, বাজারের প্রতিটি দোকানে অননুমোদিত নিষিদ্ধ গাইড বইয়ের ছড়াছড়ি। দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে শুরু করে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত বিভিন্ন নামে বিভিন্ন কোম্পানির গাইড বই বিক্রি হচ্ছে। বাজারে দ্বিতীয় হতে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত গাইড বইয়ের অন্যতম প্রকাশনী সংস্থাসমূহ হলো- পাঞ্জেরী, লেকচার, অনুপম, নবদূত, জননী, পপি ও জুপিটার। ৯ম ও ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত গাইড বইয়ের প্রকাশনী সমূহ হলো- পাঞ্জেরী, লেকচার, অনুপম, রয়েল, আদিল, কম্পিউটার, জুপিটার ও (English version) এর জন্য ক্লাসিক। এছাড়া একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য গাইড বইয়ের প্রকাশনী হিসেবে বাজারে লেকচার, পাঞ্জেরী, জ্ঞানগৃহ, জুপিটার, পপি, মিজান লাইব্রেরী, কাজল ব্রাদার্স, দি রয়েল সাইন্টেফিক পাবলিকেশন্স এর বই পাওয়া যায়। উক্ত গাইড বই সমূহ টেস্ট পেপার, সহায়ক বই, মেইড ইজি বিভিন্ন নামে বাজারে বিক্রি হচ্ছে। শ্রেণি ভিত্তিক গাইড বই এর পাশাপাশি ডিগ্রী, অনার্স ও মাস্টার্স শ্রেণির বিভিন্ন গাইড বই এবং প্রফেসর‘স, ওরাকল, এমপিও, থ্রি ডক্টরস ও সাইফুর‘স এর নামের চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন গাইড বাজারে রয়েছে।
দুদকের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, যদিও দেশে ১৯৮০ সালের নোট বই নিষিদ্ধকরণ আইন বিদ্যমান রয়েছে। এই আইন অনুসারে গাইড ও নোট বই ছাপা ও বাজারজাত করা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। এছাড়া ২০০৮ সালে নির্বাহী আদেশে নোট বই ও গাইড বই নিষিদ্ধ করা হয়। দেশে নোট-গাইড নিষিদ্ধের আইন থাকা সত্ত্বেও কীভাবে সকল শ্রেণির নোট গাইড প্রকাশ্যে বাজারে বিক্রি হচ্ছে বিষয়টি খতিয়ে দেখবে দুদক টিম। পাশাপাশি এই অবৈধ ব্যবসার মাধ্যমে যে সকল প্রকাশনা সংস্থা অবৈধ সম্পদ অর্জন করছেন তাদের বিষয়ে প্রাথমিভাবে অবৈধ সম্পদ অর্জনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হতে পারে।
দুদকে জনৈক অভিযোগকারীর তথ্যভিত্তিতে দুদক এই তদন্ত শুরু করেছে। অভিযোগ রয়েছে, দেশে বিদ্যমান নোট বই (নিষিদ্ধকরণ আইন) ১৯৮০ (১৯৮০ সালের ১২নং আইন) থাকা সত্ত্বেও দায়িত্বপ্রাপ্ত বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কিছু কর্মকর্তা নিয়মিত মাসোহারা (অনৈতিক আর্থিক লেন-দেন) নিয়ে এসকল অবৈধ ব্যবসা পরিচালনায় সহযোগিতা করছেন। বেশ কয়েকটি প্রকাশনা সংস্থার কর্ণধারদের অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছে।
কমিশনের সহকারী পরিচালক আব্দুল ওয়াদুদ ও সহকারী পরিচালক মোঃ মাসুদুর রহমান প্রথম দিনের অভিযানে অর্ন্তভুক্ত ছিলেন।