উৎসব মুখর পরিবেশে পার্বত্য তিন জেলায় আদিবাসীদের মধ্যে পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে। এবার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাক প্রাথমিক ও প্রথম শ্রেণির ১ লাখ ৪৯ হাজার ২৭৬টি পাঠ্যপুস্তক ও পঠন-পাঠন সামগ্রী মুদ্রণ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (১ জানুয়ারি) রাঙামাটিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে জাতীয় পাঠ্যবই ও আদিবাসী শিশুদের মাতৃভাষার বই বিতরণ করা হয়েছে। শহরের বনরুপা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে শিশুদের পাঠ্যবই ও আদিবাসী শিশুদের মাতৃভাষার বই বিতরণ করেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা।
এসময় জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রওশন আলী, সহকারী জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মনসুর আলী, বনরুপা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অর্চনা তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এবার এ জেলায় ৯৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে জাতীয় পাঠ্যবই এবং প্রাক-প্রাথমিক ও প্রথম শ্রেণিতে চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর আদিবাসী শিশুদের মাঝে ২৫ হাজার ৬৬৬টি মাতৃভাষার বই বিতরণ করা হয়েছে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতায় গত বছর চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা ভাষায় প্রাক-প্রাথমিক শিশুদের নিজস্ব মাতৃভাষার বই দিতে পেরেছি। তবে এ বছর প্রাক-প্রাথমিক ও প্রথম শ্রেণির ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিশুদের বই তুলে দিতে পেরেছি।’
এছাড়া জেলার যেসব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষায় পাঠদানের শিক্ষকের অভাব রয়েছে সেসব বিদ্যালয়ে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়ে জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির মধ্যে জেলা পরিষদের থেকে শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
বৃষকেতু চাকমা আরও জানান, মাতৃভাষায় প্রশিক্ষিত শিক্ষক না থাকায় গত বছর একটু সমস্যা হয়েছিল, তবে এ বছর আর সমস্যা হবে না। ইতোমধ্যে মাতৃভাষায় পাঠ্যবই পড়ানোর জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে, জেলার বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে। শহরের রাণী দয়াময়ী উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঠ্যবই বিতরণ উৎসব উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মানজারুল মান্নান। এসময় জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রণতোষ মল্লিকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম