অর্থপাচারের তিন মামলায় আপন জুয়েলার্সের তিন মালিক দিলদার আহমেদ, গুলজার আহমেদ ও আজাদ আহমেদকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন আদেশ আগামী ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে ওইদিন আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে আসামিদের জামিন স্থগিত রাখার বিষয়ে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহের হোসেন সাজু। আর আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস।
এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর গুলশান, ধানমন্ডি, রমনা ও উত্তরা থানায় শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের করা পাঁচ মামলার মধ্যে তিন মামলায় দিলদার আহমেদসহ আপন জুয়েলার্সের মালিকদের জামিন দেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে বাকি দুই মামলা মুলতবি রাখেন আদালত। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
গত বছর ২২ নভেম্বর রাজধানীর বিভিন্ন থানায় শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের দায়ের করা অর্থপাচার মামলায় আপন জুয়েলার্সের তিন মালিককে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে দুই সপ্তাহের মধ্যে ঢাকার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে সরকারকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়।
আইনজীবী আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আপন জুয়েলার্সের মালিকদের বিরুদ্ধে অর্থপাচারের মামলা হওয়ার কথা না। কারণ তাদের বিরুদ্ধে চোরাচালানের অভিযোগ করা হয়েছিল। এছাড়াও তাদেরকে একটি দোকানের বিষয়ে শুল্ক আইনে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে একটি রিট মামলাও চলছে। এর মধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হলো।’
তিনি আরও বলেন, বিচারিক আদালতে আপন জুয়েলার্সের তিন মালিকের পক্ষে আবেদন করা হলেও তাদের জামিন মেলেনি। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করা হয়। আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল জারি করেন। একইসঙ্গে দুই সপ্তাহ পর বিষয়টি কার্যতালিকায় এলে রাষ্ট্রপক্ষে এ নিয়ে শুনানি করতে বলা হয়।
এরপর রুলের ওপর হাইকোর্টে শুনানি শেষে আদালত আসামিদের জামিন দেন। তবে গত ১৮ ডিসেম্বর আসামিদের সেই জামিন আদেশ স্থগিত চাওয়া হয়। ওই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আসামিদের জামিন স্থগিত রাখা হয়।
তবে আজ মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) এ বিষয় আপিলের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ শুনানি নিয়ে আদালত পুনরায় জামিন নিয়ে স্থগিতাদেশের সময় বৃদ্ধি করেন।
সুপ্রিমকোর্ট প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম