বাংলাদেশে গত বছর মোট ১ হাজার ২৫১টি ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে ২২৪ জন নারী ও শিশু। ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৫৮ জনকে। গত বছর ধর্ষণসহ অন্যান্য নির্যাতনের মোট ঘটনা ঘটেছে ৫ হাজার ২৩৫টি।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের লিগ্যাল এইড উপপরিষদে সংরক্ষিত ১৪টি জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে সংস্থাটির পক্ষ থেকে নারী ও শিশু নির্যাতনের এ তথ্য দেওয়া হয়েছে।
মহিলা পরিষদ গতকাল সোমবার এক বিজ্ঞপ্তিতে গত বছরের নারী ও শিশু নির্যাতনের এ পরিসংখ্যান দেওয়া হয়েছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০১৭ সালে বাল্যবিবাহ–সংক্রান্ত খবর এসেছে ৪৪৪টি। তবে ইতিবাচক খবর হলো ১৯৭টি বাল্যবিবাহ সম্পন্ন হলেও প্রতিরোধ করা হয়েছে ২৪৭টি।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০১৭ সালে অ্যাসিড–সন্ত্রাসের শিকার হয়েছে ৪০ জন। এদের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। ৭১৩ জন নারী ও শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে ৫৯ জনকে।
যৌতুকের জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছে ৩৮৯ জন। তাদের মধ্যে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে ২০৮ জনকে। এ ছাড়া অপহরণের ঘটনা ঘটেছে মোট ১৪৩টি। নারী ও শিশু পাচারের শিকার হন ৯৫ জন। এর মধ্যে যৌনপল্লিতে বিক্রি করা হয়েছে ৬০ জনকে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, গত বছর গৃহপরিচারিকা নির্যাতনের শিকার হয়েছে ২৫ জন, নির্যাতনের পর হত্যা করা হয়েছে ১২ জনকে। নির্যাতনের কারণে আত্মহত্যা করতে বাধ্য পাঁচজন। বছরজুড়ে উত্ত্যক্ত করা হয়েছে ২৬৪ জনকে এবং উত্ত্যক্ত করার কারণে আত্মহত্যা করেছেন ৩৪১ জন।
মহিলা পরিষদের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ২০১৭ সালে ফতোয়ার শিকার হয়েছে ৪৫ জন নারী। বিভিন্ন নির্যাতনের কারণে ৪২৩ জন আত্মহত্যা করেছেন। আত্মহত্যার চেষ্টা করেন ১৮ জন এবং বছরটিতে ২৫৭ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ৩২ জন। অন্যদিকে শারীরিক নির্যাতন করা হয়েছে ৩২৪ জনকে।