ইটের পরিমাপ কম থাকার অভিযোগে মানিকগঞ্জের পাঁচটিসহ আটটি ইটভাটাকে সর্বমোট ১১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। সংস্থার উপ-পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বুধবার বিকালে সিঙ্গাইরে ৫টি ইটখোলায় অভিযান চালিয়ে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
সূত্রমতে, সিঙ্গাইরের খোলাপাড়া এলাকায় অবস্থিত এবিসি কোম্পানির চারটি ইটভাটাকে চার লাখ ও একই এলাকার রনি ব্রিক্সকে আরও এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া, সাভারের আমিনবাজার এলাকায় একই অভিযোগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ৮টি ইটখোলাকে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের পরিচালক আফরোজা রহমান, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ইফতেকারুল আলম রিজভী। ইটের পরিমাপ কম থাকায় ওই আট ইটভাটাকে ১১ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এ সময় ভোক্তা সাধারণকে সচেতন করার লক্ষ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়।
এর আগে গত মঙ্গলবার জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলমের নেতৃত্বে সাটুরিয়ার হাজীপুর গ্রামের এমআরবি ব্রিকস্ এবং মেসার্স বিবিবি ব্রিকসকে জরিমানা করেন।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ইফতেখারুল আলম রিজভী জানান, নীতিমালা অনুযায়ী প্রতিটি ইটের পরিমাপ অনুযায়ী দৈর্ঘ্য ২৪ সেন্টিমিটার, প্রস্থ ১৬.৫ সেন্টিমিটার ও উচ্চতা ৭ সেন্টিমিটার থাকতে হবে। কিন্তু ওইসব ইটভাটায় গিয়ে দেখা গেছে কোনও ইট ওই সাইজে তৈরি করা হয়নি।