দাখিলের পর পেরিয়ে গেছে প্রায় ২০ বছর। শুনানি হয়নি ১৯ জেল আপিলের একটিরও। ফলে বিভিন্ন ফৌজদারি মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের এসব জেল আপিলগুলো দীর্ঘদিন ধরে পড়েছিল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায়। বিষয়টি নজরে আসায় বৃহস্পতিবার ওইসব জেল আপিল চূড়ান্ত শুনানির জন্য গ্রহণের আদেশ দিয়েছেন বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের ডিভিশন বেঞ্চ। একইসঙ্গে দ্রুততম সময়ের মধ্যে আপিলগুলো শুনানির জন্য এখতিয়ার সম্পন্ন বেঞ্চে পাঠাতে সংশ্লিষ্ট আপিল শাখাকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চের দৈনন্দিন কার্যতালিকার ১৩ থেকে ৩১ নম্বর আইটেমগুলো ছিলো জেল আপিলের। অ্যাডমিশনের (শুনানির জন্য গ্রহণ) জন্য এসব জেল আপিলগুলো কার্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত ছিল। এসব আপিলের মধ্যে ১৯৯৬ সালের ৭টি ও ৯৯ সালের ৫টি আপিল রয়েছে। পদ্ধতিগত ত্রুটির কারণে এসব আপিল শুনানি না হয়ে এতদিন শাখায় পড়েছিল।
এ প্রসঙ্গে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরহাদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বহুদিন পূর্বে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা সাজার রায়ের বিরুদ্ধে এসব জেল আপিল করেছিলেন। কিন্তু শুনানি হয়নি। হয়ত আপিল বিচারাধীন থাকাবস্থায় অনেক আসামি ইতমধ্যে মারাও গেছেন। তিনি বলেন, হাইকোর্ট আপিলগুলো চূড়ান্ত শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে। এখন এখতিয়ার সম্পন্ন বেঞ্চে গেলেই এসব আপিলের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।