ভারতে ব্যভিচারের দায়ে মহিলাদেরও শাস্তি হতে পারে কি না, তা খতিয়ে দেখবে সুপ্রিম কোর্টের ৫ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চ।
যেমনটা আইন রয়েছে, তাতে এই ধরনের ফৌজদারি অপরাধের ক্ষেত্রে শুধু পুরুষকেই অপরাধী এবং শাস্তিযোগ্য বলে মনে করা হয়। আর এটা কোনও ভাবেই ‘লিঙ্গ বৈষম্যমূলক’ নয় বলে একটা সময় জানিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট।
তবে আজ ভারতের শীর্ষ আদালত সেই অবস্থান থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দিয়েছে। জানিয়েছে, সময়ের দাবি মেনেই এ বার ব্যভিচারের পুরনো সব মামলার রায় খতিয়ে দেখতে হবে। একই অপরাধে মহিলাদের ক্ষেত্রে কেন আলাদা মনোভাব পোষণ করা হবে, কেন তাঁদের শুধুই ‘প্রতারিত’ বলে গণ্য করা হবে— তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে আদালত।
সম্প্রতি এই প্রশ্ন তুলেই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন ইতালিতে কর্মরত কেরলের বাসিন্দা জোসেফ শাইন। গত ডিসেম্বরের গোড়ায় এর শুনানিতে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, ভারতীয় দণ্ডবিধির শতাব্দীপ্রাচীন ৪৯৭ ধারার সাংবিধানিক বৈধতা খতিয়ে দেখা হবে। কেন্দ্রের কাছে মতামত জানতে চেয়ে ইতিমধ্যেই নোটিস পাঠিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
ডিসেম্বরের শুনানিতে ৪৯৭ ধারার আরও একটি অংশ নিয়েও উষ্মা জানিয়েছিল শীর্ষ আদালত। আইনে বলা আছে, যদি এক জন বিবাহিত পুরুষ কোনও বিবাহিত মহিলার স্বামীর অনুমতি নিয়ে তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক করেন, তা হলে তাকে ব্যভিচার বলা যাবে না। এতে নারীর সমানাধিকার এবং ব্যক্তি স্বাধীনতা খর্ব হয় বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের। – খবর আনন্দবাজার পত্রিকার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম