ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা প্রতিবারের মতো শুরু হয়েছে ১ জানুয়ারি। এবারের আয়োজনের তৃতীয় দিন থেকে সক্রিয় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর কার্যক্রম। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাণিজ্য মেলার ভিআইপি ফটকের পাশেই অবস্থিত তাদের স্টল। সেখানে নিয়মিত থাকছেন অধিদফতরের কর্মকর্তারা। কোনও গ্রাহক এসে অভিযোগ করলেই মিলছে সাড়া। আবার অভিযোগ প্রমাণ হলে থাকছে জরিমানার ব্যবস্থা। সেই জরিমানার ২৫ শতাংশ পুরস্কার হিসেবে পাচ্ছেন অভিযোগকারী।
গত ৩ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলায় প্রাপ্ত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শাহনাজ সুলতানা। এ সময় অভিযোগ প্রমাণ হলে ছয়টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১ লাখ ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর সুত্রে জানা যায়, গত ৩ জানুয়ারি বাণিজ্য মেলার স্টলে ৭টি অভিযোগ জমা পড়ে। এর ওপর ভিত্তি করে তদন্ত করেন সহকারী পরিচালক শাহনাজ সুলতানা। তদন্তে প্রমাণিত হয় সবই।
জানা যায়— সামস ক্যাফেকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯-এর ৪০ ধারায় (ধার্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য, ওষুধ বা সেবা বিক্রয়) ২০ হাজার টাকা, বাংলাদেশ পযটন করপোরেশনকে ৪০ ধারায় ১০ হাজার টাকা, নোহা সার্ভিসিং কোম্পানিকে ৪৪ ধারায় ২০ হাজার টাকা, সমতা ট্রেডার্সকে ৪৪ ধারায় (মিথ্যা বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করার দণ্ড) ২০ হাজার টাকা, মিঠাইকে ৩৭ ধারায় (পণ্যের মোড়ক ইত্যাদি ব্যবহার না করা) ২০ হাজার টাকা, নিউ ফ্যামিলি ট্রেডার্সকে ৪৪ ধারায় ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সঙ্গে সঙ্গে আদায় করা হয় জরিমানার অর্থ। পাশাপাশি অভিযোগকারীকে পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয় জরিমানার ২৫ শতাংশ।
প্রতিদিনই ভোক্তাদের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান অধিদফতরের সহকারী পরিচালক (তদন্ত) মো. মাসুম আরেফিন। তিনি গণমাধ্যমকে বললেন, ‘এখন পর্যন্ত ১৭টি মামলা হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে শুধু বাণিজ্য মেলা থেকেই। আমাদের এই কার্যক্রম পুরো মাস ধরেই বাণিজ্য মেলায় চলবে।’
আগামী মাসে চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায়ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের কার্যক্রম শুরুর জন্য স্টল বসানো হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা। খবর বাংলা ট্রিবিউনের