১৮ বছর বয়সের পর নারী ও পুরুষ সবার নিজের ইচ্ছেমতো জীবন কাটানোর অধিকার রয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রাপ্তবয়স্ক নারী বা তরুণীরাও তাঁদের ইচ্ছেমতো চলবেন। এতে পরিবার বা অন্য কারও হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার নেই।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গতকাল শুক্রবার এ–সংক্রান্ত এক মামলার শুনানি শেষে এই রায় দেন। প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র, বিচারপতি এম খানউইলকার ও বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
আদালত বলেছেন, প্রাপ্তবয়স্ক প্রত্যেক নারী-পুরুষের নিজেদের ইচ্ছেমতো জীবন কাটানোর অধিকার রয়েছে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। আইন অনুসারে নারীরাও তাঁদের ইচ্ছেমতো নিজের জীবন কাটাবেন। এ ক্ষেত্রে ওই নারী বা পুরুষের অভিভাবকের কথায় আদালতের অভিভাবক বা রক্ষক সাজার কোনো দরকার নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কেরালায় এক দম্পতির বিবাহবিচ্ছেদ হয়। এরপর ১৩ বছর বয়সী ছেলে ও ১৯ বছর বয়সী মেয়েকে নিয়ে সাবেক স্বামী কুয়েতে চলে যান। সম্প্রতি ১৯ বছর বয়সী ওই মেয়েকে কাছে নিয়ে আসার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন ওই নারী। ওই মেয়েকে আদালতে নির্দিষ্ট সময়ে হাজির করাতে বাবাকে নির্দেশ দেন আদালত। আদালতে হাজির হয়ে মামলার শুনানিতে ওই মেয়ে বলেন, তিনি প্রাপ্তবয়স্ক। ভারতের ইন্দিরা গান্ধী ন্যাশনাল ওপেন ইউনিভার্সিটি থেকে পড়াশোনা শেষ করে তিনি কুয়েতেও ইন্টার্নশিপ করেছেন। এখন সেখানেই তিনি তাঁর ক্যারিয়ার গড়তে চান। এ কারণে তিনি দেশে মায়ের সঙ্গে থাকতে চান না।
শুনানি শেষে আদালত বলেন, ওই তরুণী দ্বিধাহীনভাবে বলেন, তিনি স্বেচ্ছায় কুয়েতে ফেরত যেতে চান। সেখানেই নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান তিনি। যেহেতু তিনি প্রাপ্তবয়স্ক, তাই এ ক্ষেত্রে তাঁর ইচ্ছার ওপর কারও হস্তক্ষেপ করার কোনো অধিকার নেই। তবে ওই নারীর মাতৃত্বের দিক বিবেচনা করে আদালত ১৩ বছর বয়সী ছেলেসন্তানকে গ্রীষ্মের ছুটিতে মায়ের কাছে পাঠাতে বাবাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
আন্তর্জাতিক ডেস্ক/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম