কক্সবাজারের সদর উপজেলায় এক অভিভাবককে হাত-পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ ১২জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে এ ঘটনায় তিন শিক্ষককে শোকজ করা হয়েছে।
আজ সোমবার (৮ জানুয়ারি) ভুক্তভোগী অভিভাবক আয়াত উল্লাহর স্বজন বাদী হয়ে কক্সবাজার সদর থানায় এ মামলাটি করেন। তবে সুনির্দিষ্ট করে বাদীর নাম জানায়নি পুলিশ।
মামলায় খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হক, শিক্ষক নজিবুল্লাহ, নুরুল হক, স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি এনামুল হক ও সদস্য মুস্তাকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর ১০-১২ জনকে করা হয়েছে অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামি।
ভুক্তভোগী আয়াত উল্লাহ গণমাধ্যমকে বলেন, নির্যাতনকারীরা জামায়াতের বড় মাপের নেতা হওয়ায় আমাকে পুলিশ ও সাংবাদিকের কাছে মুখ না খুলতে হুমকি দেওয়া হচ্ছে।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রঞ্জিত কুমার বড়ুয়া জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ওই অভিভাবকের বাড়ি যাই। এরপরই থানায় মামলা করেন তারা।
এদিকে ঘটনাস্থল ও অভিভাবকের বাড়ি পরিদর্শন করেছেন কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নোমান হোসেন প্রিন্স।
তিনি জানান, এ ঘটনায় জতিড়দের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনা হবে। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্ত করতে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এছাড়া অভিভাবককে নির্যাতনের ঘটনায় খরুলিয়া কেজি অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বোরহান উদ্দিন, খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হকসহ তিন শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়অ হয়েছে বলে জানান ইউএনও প্রিন্স।
সন্তানের পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হওয়া,পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ভর্তি ফি ও মাসিক বেতন বাড়ানোর কারণ জানতে চাওয়ায় রোববার (৭ জানুয়ারি) সকালে আয়াত উল্লাহর ওপর চড়াও হন খরুলিয়া কেজি অ্যান্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক বোরহান উদ্দিন এবং খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল হকসহ তাদের সহযোগীরা।
হাত-পা বেঁধে মারধরের ছবি ও ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজার জেলাজুড়ে।
জেলা প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম