রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, রূপালী ও জনতা ব্যাংকের তিন পদে নিয়োগের কার্যক্রম বন্ধে হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি। ফলে ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় ওই তিন ব্যাংকের সমন্বিত নিয়োগ পরীক্ষা নিতে আর কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১০ জানুয়ারি) চেম্বার বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন এ আদেশ দেন।
আদালতে ব্যাংকের পক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড জিয়াউর রহমান। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট রাশেদুল হক খোকন।
২৮ জনের রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ০৭ জানুয়ারি সোনালী, রূপালী ও জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার, অফিসার (জেনারেল) ও অফিসার (ক্যাশ) পদে নিয়োগের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলো হাইকোর্ট।
ওইদিন রাশেদুল হক খোকন জানান, সোনালী ব্যাংক ২০১৬ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ৭০১টি শূন্যপদের বিপরীতে অফিসার ক্যাটাগরির দু’টি পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়।
একই বছরের ২৬ জুলাই রুপালী ব্যাংক ৪২৩টি শূন্য পদে সিনিয়র অফিসার এবং ৩ আগস্ট ৭৩৬টি শূন্যপদে অ্যাসিস্ট্যান্ট এক্সিকিউটিভ অফিসার পদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়।
কিন্তু এসব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির নিয়োগ পরীক্ষা না নিয়ে গত বছরের ২৩ আগস্ট বাংলাদেশ ব্যাংক ৮টি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের এক হাজার ৬৬৩টি সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) শূন্যপদের জন্য সমন্বিত নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। একই বছরের ২৯ আগস্ট তিন হাজার ৪৬৩টি অফিসার (জেনারেল) শূন্যপদ এবং ৭ সেপ্টেম্বর দুই হাজার ২৪৬টি অফিসার (ক্যাশ) শূন্যপদের জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেয়। এসব নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে ১২ জানুয়ারি (শুক্রবার) নিয়োগ পরীক্ষা হওয়ার কথা।
রাশেদুল হক আরও বলেন, এ অবস্থায় ২০১৬ সালের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী আবেদনকারীদের মধ্যে ২৮ জন গত বছর বাংলাদেশ ব্যাংকের সমন্বিত তিনটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চ্যালেঞ্জ করে রিট দায়ের করেন।
হাইকোর্টের আদেশের কারণে ১২ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় এ তিন ব্যাংকের ক্ষেত্রে নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছিলেন আইনজীবীরা। এর বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার এ আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টর আদেশ ছয় সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেছেন।
সুপ্রিমকোর্ট প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম