দুর্নীতির অভিযোগে ডিবি পুলিশের হাতে গ্রেফতার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের (মাউশি) উচ্চমান সহকারী মো. নাসির উদ্দিন এর আগেও ঘুষ নিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করেছিলেন। এ কারণে ২০১৩ সালে মাউশি তাকে শাস্তিও দিয়েছিল।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, নাসির প্রায় ২০ বছর ধরে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চাকরি করছেন। ২০১৩ সালে তিনি মাউশির এমপিও শাখায় নিয়োজিত ছিলেন। সেসময় এমপিওভুক্তি নিয়ে নানা দুর্নীতি ও অর্থ গ্রহণের অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। তৎকালীন মাউশির ডিজির নির্দেশে পরিচালক অধ্যাপক মো. দিদারুল আলমকে আহ্বায়ক করে ২৭৩টি অবৈধ এমপিওভুক্তির ঘটনার তদন্ত কমিটি করে অধিদফতর।
মাউশির তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল, ‘মাধ্যমিক শাখার উচ্চমান সহকারী নাসির উদ্দিন, নাটোর জেলার গুরুদাসপুর উপজেলার কাছিহাটা হাইস্কুলের পাঁচজন সহকারী শিক্ষক, একজন কম্পিউটার শিক্ষকসহ মোট সাতজন নিয়মবহির্ভূত এমপিওভুক্তির জন্য দায়ী।’
প্রতিবেদনে দুর্নীতি প্রমাণ পাওয়ায় শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে নাসির উদ্দিনকে প্রথমে মিরপুর জেলা শিক্ষা অফিসে জেলা শিক্ষা অফিসারের অফিস সহকারী হিসেবে বদলি করা হয়। সেখানে এক বছর চাকরির পর সিরাজগঞ্জের উল্ল্যাহ পাড়া সরকারি কলেজে বদলি করা হয়। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের জোর তদবির করে গত চার মাস আগে সংযুক্ত বদলি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে আসেন তিনি।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, নাসির খিলক্ষেতে লেকসিটি কনকর্ডের বৈকালী-৬ ভবনের চতুর্থ তলার ৬-এফবি ১/৩ নম্বর ফ্ল্যাটে থাকেন, যার বর্তমানমূল্য প্রায় এক কোটি টাকা। চার বেডরুমের ফ্ল্যাট, ড্রয়িং-ডাইনিং মিলে মোট সাড়ে ১৩শ স্কয়ার ফিট। গত ১৪ বছর আগে ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন তিনি। সরকারি বেতন কাঠামো অনুযায়ী, ২০ বছরের চাকরি জীবনে বৈধভাবে তার পক্ষে কোনোভাবেই কোটি টাকা আয় করা সম্ভব নয়। তার একটি জিপ গাড়ি আছে, যেটি তিনি মাউশির বলে দাবি করেন। এছাড়া তার একটি প্রাইভেটকারও রয়েছে।
নগর প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম