বিদ্যুৎ চুরির সাজা বাড়িয়ে গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ বিল পাস হয়েছে। নতুন আইনে চার ধরনের অপরাধকে অজামিনযোগ্য করা হয়েছে। এ ছাড়া বিলে ক্ষমতাপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অননুমোদিত বিদ্যুৎ ব্যবহারের তল্লাশির ক্ষেত্রে কোনো জায়গা বা অঙ্গনে দরজা ভেঙে তল্লাশি চালানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদে ‘বিদ্যুৎ বিল-২০১৮’ পাসের প্রস্তাব করেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। বিরোধী দলের আপত্তি, যাচাই ও বাছাই কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
১৯১০ সালের ‘ইলেকট্রিসিটি অ্যাক্ট’ সংশোধন করে নতুন আইন করতে বিলটি পাস হয়েছে। আইনে বিদ্যুৎ চুরির জন্য সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড বা চুরি হওয়া বিদ্যুতের মূল্যের দ্বিগুণ বা ৫০ হাজার টাকা জরিমানার (যেটা বেশি হয়) বিধান রাখা হয়েছে। আগে এ অপরাধের জন্য ১০ হাজার টাকা জরিমানার বিধান ছিল।
বিদ্যুৎ চুরির জন্য কোনো যন্ত্র বা ডিভাইস ব্যবহার করলে তিন বছরের কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এ অপরাধ অজামিনযোগ্য। আইনে বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি চুরি, অপসারণ বা বিনষ্ট করলে দুই থেকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে। এটিও অজামিনযোগ্য অপরাধ। এ ছাড়া বিদ্যুৎ স্থাপনায় নাশকতা করলে সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রয়েছে। এটিও অজামিনযোগ্য অপরাধ।
আইনের আরেকটি অজামিনযোগ্য ধারায় বলা হয়েছে, বিদ্যুতের মিটার, পূর্তকাজে বাধা দেওয়া এবং বিদ্যুতের অননুমোদিত ব্যবহারের অপরাধে ওই ব্যক্তি তিন বছর কারাদণ্ড বা পাঁচ লাখ টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। আইনে শিল্প ও বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ চুরি করলে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড বা চুরি হওয়া বিদ্যুতের মূল্যের দ্বিগুণ বা পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত অর্থদণ্ডের বিধান রাখা হয়েছে।
সংসদ প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম