আসন্ন এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ পাওয়া গেলেই সে পরীক্ষা বাতিল করা হবে বলে জানিয়েছে সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের উপস্থিতেতে এক সভায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন এ তথ্য জানান।
আগামী ১ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এসএসসি ও সমমানের তত্ত্বীয় বিষয়ে পরীক্ষা হবে। গত কয়েক বছর ধরে পরীক্ষার আগে ফেইসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগের বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্ন ফাঁসের প্রমাণ মিললেও পরীক্ষা বাতিল করেনি সরকার।
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষাকে সামনে রেখে আয়োজিত সভায় সচিব সোহরাব বলেন, “আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, যদি এ রকম ঘটনা (প্রশ্ন ফাঁস হয়) ঘটে, পরীক্ষার পরেও যদি প্রমাণ পাওয়া যায় যে, পরীক্ষার আগে প্রশ্ন আউট হয়েছে সেক্ষেত্রে সে পরীক্ষা বাতিল হবে। কোনো অবস্থাতেই ফাঁস হওয়া প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না।”
তিনি বলেন, “পরীক্ষা হওয়ার পরেও যদি প্রমাণ হয় যে, এই প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে তাহলে সেই পরীক্ষাটি অবশ্যই বাতিল করব। কোনো অবস্থাতেই কোনো ধরনের আপস আমরা করতে রাজি নই।”
প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার মত যত পথ আছে তা বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দাবি করে সোহরাব বলেন, “কোনো অবস্থাতেই আমরা আমাদের এই প্রজন্মকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য কাউকে সে পথে এগোতে দেব না। যদি কেউ এগোন এবং ধরা পড়েন, নিশ্চিত প্রমাণ পেলে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
আরও পড়ুন : প্রশ্নফাঁস রোধে শুক্রবার থেকে দেশের সব কোচিং সেন্টার বন্ধ
এবার থেকে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় সব শিক্ষা বোর্ডে পরীক্ষা হবে একই প্রশ্নে। অভিন্ন প্রশ্নে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে কোনো ঝুঁকি থাকছে কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, “আমরা বিভিন্ন কারণে এই ঝুঁকিটা নিচ্ছি। অনেক সময় অনেকে আমাদের অভিযুক্ত করছেন যে বিভিন্ন বোর্ডে বিভিন্ন মানের প্রশ্ন হচ্ছে, সারা দেশে একভাবে পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে না।”
ওই সমস্যা মেটাতেই সারা দেশে এক প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “ঝুঁকি আমরা এবার নিচ্ছি, পুরোপুরি নিচ্ছি, আমরা পরীক্ষা বাতিল করব। কোনো অবস্থাতেই ফাঁস হওয়া প্রশ্নে (যদি ফাঁস হয়) পরীক্ষা নেব না।”
শিক্ষার্থীদের এ বিষয়ে সতর্ক করে সোহরাব বলেন, “কোনো অবস্থাতে যদি কেউ ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পেয়ে আনন্দিত হন, তাহলে তার জন্য সংবাদ হচ্ছে, সেই পরীক্ষাটি বাতিল হবে।”
সভায় শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর ছাড়াও বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
নগর প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম