সারাদেশে অনুমোদনহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও মাদ্রাসা) বন্ধে কেন নির্দেশনা দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ সোমবার (২৯ জানুয়ারি) বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশরাফুল কামালের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
একইসঙ্গে চার সপ্তাহের মধ্যে শিক্ষা সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতরের চেয়ারম্যানকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহম্মদ ফরিদুল ইসলাম ফরিদ। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী শামছুন নাহার লাইজু ও নিলুফার ইয়াসমিন।
পরে ফরিদুল ইসলাম ফরিদ গনমাধ্যমকে বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন এলাকায় বেশ কিছু অনুমোদনহীন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পাঠদান চলছে। অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিছু শিক্ষক সরকারের দেওয়া বিনামূল্যের বই ওইসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিক্রি করে। এমনকি ময়মনসিংহের চায়ের দোকান থেকেও ওইসব বই উদ্ধার করা হয়েছে। পরে এই ঘটনায় ময়মনসিংহের আদালতে একটি ফৌজদারি মামলা হয়।
তিনি বলেন, বিনামূল্যের বই বাজারে ছড়িয়ে পড়ার খবর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশ পায়। এরপর স্থানীয় বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন এই ঘটনার প্রতিবাদে মানববন্ধন করে। এমনকি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদেরকে একটি আইনি নোটিশ পাঠায়। কিন্তু সেই নোটিশের কোনও জবাব না পেয়ে তারা হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
এর আগে গতকাল রোববার (২৮ জানুয়ারি) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় লেখিকা অহনা নাসরিন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান বাস্তবায়ন সংস্থার ময়মনসিংহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নাসরিন সুলতানা রিট দায়ের করেন। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ সোমবার রুল জারি করেন।
সুপ্রিমকোর্ট প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম