জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার আসামি ট্রাফিক বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে পরবর্তী যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামীকাল বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দিন ধার্য করেছেন আদালত। মঙ্গলবার রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় পরবর্তী দিন নির্ধারণ করেন আদালত।
এদিন সকাল ১১টা ৫৪ মিনিটে রাজধানীর বকশীবাজারের আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামানের আদালতে উপস্থিত হন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। এরপর দুপুর ১২টা ১০ মিনিটে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মোশাররফ হোসেন কাজল যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন। বেলা ২টা ৫৮ মিনিটে তিনি যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন।
আদালতে মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালে (২০০১ থেকে ২০০৬ সাল) ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজে ও অন্যকে লাভবান করার জন্য জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট গঠন করেন। মামলায় খালেদা জিয়ার সাত বছরের সাজা চাই।
তিনি আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া অবৈধভাবে টাকা সংগ্রহ করেন তা সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আমরা প্রমাণ করতে সমর্থ হয়েছি। এরপর তিনি খালেদা জিয়াসহ সব আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষ করেন।
এরপর মামলার আসামি ট্রাফিক বিভাগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করে আইনজীবী আমিনুল ইসলাম। তার যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় আদালত পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপনের জন্য আগামী কাল বুধবার দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি ঢাকার ৫নং বিশেষ জজ ড. আখতারুজ্জামান যুক্তি উপস্থাপনের জন্য এ দিন ধার্য করেন। অপরদিকে খালেদাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে তিন কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় আরও একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর-রশীদ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী (পলাতক), হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব ও বিআইডব্লিউটি এর সাবেক নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।