হিন্দু ধর্ম নিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেয়ায় সাংবাদিক ও শিক্ষক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করেছেন এক আইনজীবী। মঙ্গলবার বাংলাদেশ সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম সাইফুর রহমানের আদালতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন আইনজীবী সুশান্ত কুমার বসু।
আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে নেয়ার জন্য রাজধানীর ওয়ারী থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। আদালতের পেশকার নজরুল ইসলাম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, গত ২২ জানুয়ারি সরস্বতী পূজার দিন আনিস আলমগীর তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি স্ট্যাটাস দেন, যাতে তিনি হিন্দু ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন বলে দাবি করা হয়। এতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত লাগায় বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করেন বাদী।
মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল জানান, গত ২২ জানুয়ারি সরস্বতী পূজার দিন আনিস আলমগীর তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন, যাতে হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে মন্তব্য করা হয়। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অনুভূতিতে আঘাত লাগায় বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন তিনি।
এদিকে ওই স্ট্যাটাস দেয়ার পর তা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। এর পরদিন ২৩ জানুয়ারি আনিস আলমগীর তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে বিষয়টি নিয়ে লেখেন, ‘যে জিনিস আমি মিন করিনি সেটা বুঝে আপনি আহত হলে একবার কেন ১০০ বার ক্ষমা চাইতে দোষ নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘একটু খোঁজ নিলেই জানতে পারতেন আমি নিজে ধার্মিক এবং অন্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আমার বিদ্বেষ কোনো কালেই ছিল না, এতো হেইটের পরও থাকবে না। কারণ ধর্ম নিয়ে আমার কোনো বিজনেস নেই। আমি বিশ্বাস করি বিশেষ কোনো ধর্মের লোক হওয়ার মধ্যে কোনো বাহাদুরিও নেই। কারণ আমরা সিংহভাগ লোক জন্মগতভাবে পাওয়া ধর্ম পালন করছি।’