দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা ১৬৫ কোটি টাকা অর্থ পাচারের মামলার আসামি আরব-বাংলাদেশ (এবি) ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াহিদুল হক ও কোষাধ্যক্ষ আবু হেনা মোস্তাফা কামালের জামিন কেন বাতিল করা হবে না— তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। একইসঙ্গে এই দুই আসামির বিদেশ যাওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন হাইকোর্ট।
আজ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টেরর দ্বৈত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট খুরশিদ আলম খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোর্শেদ।
পরে খুরশিদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘আদালত দুদকের এক মামলায় এবি ব্যাংকের সাবেক দুই কর্মকর্তার বিদেশ যাত্রার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন। একইসঙ্গে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে এ মামলার নথিপত্র বিশেষ বার্তা প্রেরকের মাধ্যমে দ্রুত হাইকোর্টে পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, বিদেশে অর্থ পাচারের অভিযোগে গত ২৫ জানুয়ারি এবি ব্যাংকের এম ওয়াহিদুল হক, আবু হেনা মোস্তফা কামাল ও ব্যবসায়ী সাইফুল হককে গ্রেফতার করে দুদক। এর মধ্যে সাইফুল হক এবি ব্যাংকের প্রথম চেয়ারম্যান, সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এম. মোরশেদ খানের জামাতা। ওই দিনই দুদকের সহকারী পরিচালক গুলশান আনোয়ার খান মতিঝিল থানায় এই তিন জনসহ আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। দুদক সূত্রে জানা গেছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে অসৎ উদ্দেশ্যে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ভুয়া অফশোর কোম্পানিতে বিনিয়োগের আড়ালে ১৬৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এই অর্থ চট্টগ্রামের অফশোর ব্যাংকিং ইউনিট (ওবিইউ) শাখা থেকে দুবাইয়ে পাচার করা হয়।
এর আগে, গত ২৮ ডিসেম্বর ওয়াহিদুল হকসহ এবি ব্যাংকের ১২ কর্মকর্তার বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল দুদক। পরে গত ৪ জানুয়ারি ব্যাংকটির আরও চার কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে দুদক চিঠি দেয়।
সুপ্রিমকোর্ট প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম