দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দ্বিতীয় দিনের মতো হাজিরা দিতে আদালতে এসেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
আজ বুধবার (৩১ জানুয়ারি) বেলা পৌনে ১১টায় গুলশানের বাসভবন থেকে রওনা হয়ে সাড়ে ১১টায় রাজধানীর বকশীবাজার কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৫ এ হাজির হন তিনি।
এদিকে বেলা সোয়া ১১টায় বিচারক আক্তারুজ্জামান বিচারিক কার্যক্রম শুরু করলে হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্নার পক্ষে যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন শুরু করেন তার আইনজীবী আমিনুল ইসলাম।
এর আগে মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সপ্তাহের প্রথম দিনেরমত যুক্তি-তর্ক উপস্থাপন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। এসময় ১৪ পৃষ্ঠার লিখিত জবানবন্দির কপি জমা দেন খালেদা জিয়া।
দুদকের দায়ের করা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট এ দু’টি মামলারই প্রধান আসামি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় মোট আসামি চারজন।
খালেদা ছাড়া অপর তিন আসামি হলেন- খালেদা জিয়ার তৎকালীন রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছ চৌধুরীর তৎকালীন একান্ত সচিব বর্তমানে বিআইডব্লিউটিএ-এর নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক বিভাগের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।
আসামিদের মধ্যে জামিনে থাকা দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মুন্না ও মনিরুল ইসলাম খান আত্মপক্ষ সমর্থন করে আদালতে লিখিত বক্তব্য জমা দিয়েছেন। হারিছ চৌধুরী মামলার শুরু থেকেই পলাতক। আর এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন মোট ৩২ জন।
২০১০ সালের ৮ আগস্ট রাজধানীর তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টে দুর্নীতির অভিযোগে মামলা করেন দুদক। চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ আনা হয় ওই মামলায়।
জজকোর্ট প্রতিনিধি/ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকম