মাদক নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আজকেই (অভিযান) চালাব। কারণ আমরা চাই না এসব ঘটুক। এমপিদেরকেও এ ব্যাপারে নিজ এলাকায় বিশেষ নজর দিতে হবে। বুধবার জাতীয় সংসদে ফ্লোর নিয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ পয়েন্ট অব অর্ডারে মাদকের ভয়াবহতা নিয়ে বক্তব্য দেন।
তিনি ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় মাদকের ছড়াছড়ির কথা উল্লেখ করে বলেন, রমনায় ৭৪টি, লালবাগে ৯০টি, ওয়ারলেসে ১৫০টি, মিরপুরে ১২৫টি গুলশানে ১১২টি, উত্তরায় ৬৮টি, মতিঝিলে ১২২টি এবং তেজগাঁওয়ে মাদকের শতাধিক স্পট রয়েছে।
স্পিকারের উদ্দেশ্যে ফিরোজ রশীদ বলেন, কখনো এসব এলাকায় দিনের বেলা গেলে দেখবেন অনেক শিশুরা বিভিন্ন পন্থায় মাদক গ্রহণ করছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, জুতার একটা বিশেষ কষ। এইটা পলিথিনের মধ্যে নিয়ে শিশুরা নেশা করে।
তিনি বলেন, ক্ষুধার যন্ত্রণায় এরা এসব করে। আমাদের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় যদি ঢাকা থেকে হাজার খানেক এমন শিশুকে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে আনসার ভিডিপিসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে দেখভালের জন্য দেন তাহলে এদের ভবিষ্যৎ ভালো হবে। শহরের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিও দূর হবে, শহর পরিষ্কার থাকবে। কারণ এরাই ছিনতাই করে, শহর অপরিষ্কার করে। এদের কারণে রাস্তায় চলা দায়।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তাদের অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে, যারা ভবঘুরে আছে তাদের বিষয়ে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, দালাল শ্রেণির লোক থাকে যারা এসব বাচ্চাদের নিয়ন্ত্রণ করে। এরা অনেকটা ছড়িয়ে পড়েছিল। কিন্তু আমরাই পদক্ষেপ নিয়ে নিয়ন্ত্রণ করেছি। এরা আরও ব্যাপক ছিল। আর গুলশানসহ হাইফাই এলাকার লোকজন তারা কী করে তাদের বিষয়ে আমার কী করতে পারি। গুলশানবাসীরা যদি এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেন তাহলে ভালো হয়। তারপরও আমরা এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেব।