দুই বাসের রেষারেষিতে হাত হারানো তিতুমীর কলেজের স্নাতকের ছাত্র রাজীব হোসেনের চিকিৎসা ব্যয় ওই দুই বাস মালিককে বহন করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ বুধবার (৪ এপ্রিল) বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহুরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ নির্দেশ দেন।
রুলে ওই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হাত হারানো রাজীব হোসেনকে কেন এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আজ ‘দুই বাসের টক্করে হাত গেল কলেজছাত্র রাজীবের’ শিরোনামে জাতীয় একটি প্রতিবেদন ছাপানো হয়। এটি যুক্ত করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল রিটটি করেন। রিটের পক্ষে তিনি নিজেই শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়।
পরে আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল বলেন, যাত্রীসাধারণের চলাচল নিরাপদ করতে বিদ্যমান আইন কঠোরভাবে কার্যকর করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনে আইন সংশোধন ও নতুন করে বিধিমালা করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রসচিব, সড়ক পরিবহন ও সেতুসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ আট বিবাদীকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে বলে জানান রুহুল কুদ্দুস কাজল।
গতকাল মঙ্গলবার বিআরটিসির একটি দোতলা বাসের পেছনের ফটকে দাঁড়িয়ে গন্তব্যে যাচ্ছিলেন রাজধানীর মহাখালীর সরকারি তিতুমীর কলেজের স্নাতকের (বাণিজ্য) দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র রাজীব হোসেন (২১)। হাতটি বেরিয়েছিল সামান্য বাইরে। হঠাৎই পেছন থেকে একটি বাস বিআরটিসির বাসটিকে পেরিয়ে যাওয়ার বা ওভারটেক করার জন্য বাঁ দিক গা ঘেঁষে পড়ে। দুই বাসের প্রবল চাপে রাজীবের হাত শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। দু-তিনজন পথচারী দ্রুত তাঁকে পান্থপথের শমরিতা হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা চেষ্টা করেও বিচ্ছিন্ন সে হাতটি রাজীবের শরীরে আর জুড়ে দিতে পারেননি। শমরিতা হাসপাতাল সূত্র বলেছে, বিচ্ছিন্ন হওয়া হাতটি জোড়া লাগানো সম্ভব নয়, তাঁর অবস্থা গুরুতর। গতকালই তাঁর অস্ত্রোপচার করা হয়।