অ্যাডভোকেট লাইসেন্স না পেয়ে বিভিন্ন সময় সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন প্রান্তে এ্যাডভোকেট পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে কতিপয় টাউট ব্যক্তি। গতকাল বুধবার (৪ এপ্রিল) জনসাধারণকে জানানোর জন্য আদালত প্রাঙ্গণে ২১ টাউট আইনজীবীর তালিকা টানালো সাতক্ষীরা আইনজীবী সমিতি।
এ ব্যাপারে সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যনির্বাহী কমিটি গত সোমবার (২ এপ্রিল) সভা আহবান করে। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম. শাহ আলম এবং সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওসমান গণি স্বাক্ষরিত ২১ জন টাউটের নামের তালিকা করা হয়। ওই ২১ জনের নাম, পিতার নাম, গ্রাম, পোস্ট, থানা, জেলা সম্বলিত তালিকা জনসাধারণকে জানানোর জন্য সাতক্ষীরা জেলা আইনজীবী সমিতির ১নং ভবনের বিল্ডিংয়ে টানানো হয়েছে।
ওই টাউট ২১ জন হলেন, কলারোয়া উপজেলার সোনবিাড়িয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের মেয়ে নারগিস পারভিন, তালা উপজেলার নলতা গ্রামের সুরেন্দ্র নাথ ছেলে পরিমল কুমার মন্ডল, আটারোই গ্রামের কদমলাল দাসের অসীম কুমার দাস, শাহাজাদপুর গ্রামের আমজাদ আলী খানের ছেলে আজিজুল ইসলাম খান, সাতক্ষীরা উপজেলার শিমুল বাড়ীয়া গ্রামের আলহাজ্ব মোঃ আব্দুস ছাত্তারের ছেলে রুহুল আমীন, পলাশপোল গ্রামের শেখ ওমর আলীর ছেলে শেখ মাহাবুবর রহমান জয়নাল, আব্দুল্লাহর ছেলে এ,বি,এম, হাবিব রনি, রসুলপুর গ্রামের মৃত ইমান আলীর ছেলে আবিদুল হক মুন্না, দক্ষিণ কাটিয়া গ্রামের শেখ আব্দুস সবুরের ছেলে রাশিদুজ্জামান সুমন, গোবরদাড়ী, (কাশেমপুর) গ্রামের মৃত আহাদ আলীর ছেলে স্যামুয়েল ফেরদৌস পলাশ, পুরাতন সাতক্ষীরা গ্রামের নুর হোসেনের ছেলে নুর আলম সিদ্দিক (আলম), আশাশুনি থানার খরিয়াটি গ্রামের আজিজ গাজীর ছেলে ইশার আলী, শ্যামনগর থানার গোবিন্দপুর গ্রামের সুন্দর আলি ঢালীর ছেলে আব্দুর রশিদ, শ্রীফলকাটি গ্রামের তৈয়বুর আলীর ছেলে জি,এম, ফিরোজ আহমেদ, শ্যামনগর থানার গোবিন্দপুর গ্রামের আরশাদ আলীর মেয়ে রওশনারা, শৈলখালি গ্রামের আব্দুল মান্নান গাজীর ছেলে মনির হোসেন, মানিকপুর গ্রামের ফজলুল হক গাজীর ছেলে লিয়াকাত আলী, কালিগঞ্জ থানার পূর্ব নারায়নপুর গ্রামের মৃত গৌর এর ছেলে গনেষচন্দ্র ঘোষ, কলারোয়া থানার উত্তর ভাদিয়ালী গ্রামের মোক্তার আলীর ছেলে মুকুল হোসেন, তালা থানার মাগুরাডাঙ্গা গ্রামের কোফিল উদ্দিনের ছেলে সুজাম উদ্দিন, মাগুরাডাঙ্গা গ্রামের সুধীর মন্ডলের ছেলে বিপ্লব।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম. শাহ আলম বলেন, সাধারণ মানুষ মামলা সংক্রান্ত ব্যাপারে যেন কোনরূপ ভোগান্তির শিকার না হয় সেজন্য এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। আশাকরি এতে সাধারণ মানুষ উপকৃত হবে।