রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে হুমায়রা ওরফে নাবিলা নামে এক নারী জঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট হুমায়রাকে গ্রেফতার করে।
সিটিটিসি জানিয়েছে, গত বছরের ১৫ আগস্ট পান্থপথে হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে জঙ্গি সম্পৃক্ততায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
বিয়ষটি নিশ্চিত করে ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. ওবায়দুর রহমান জানান, গ্রেফতার হুমায়রা ওরফে নাবিলার স্বামী তানভীর ইয়াসির করিমও নব্য জেএমবিতে সম্পৃক্ত। গত বছরের নভেম্বরে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, হুমায়রা নব্য জেএমবির ‘সিস্টার্স উইংয়ের’ দায়িত্বশীল পথে রয়েছেন। তিনি নব্য জেএমবির মূল সমন্বয়ক আকরাম হোসেন খান নিলয় গ্রুপের অর্থদাতা।
এ ব্যাপারে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের ডিসি মুহিবুল ইসলাম খান বলেন, গত বছরের ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের র্যালিতে হামলা পরিকল্পনায় হুমায়রা ওরফে নাবিলার সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে। ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে তিনি অন্যতম একজন অর্থদাতা। তাকে ওই হামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি জানান, অনেক আগেই জঙ্গিবাদে হুমায়রার সম্পৃক্ততার বিষয়ে তারা নিশ্চিত হন। তার স্বামীকে গ্রেফতারের সময় থেকেই তাকে নজরদারি করা হচ্ছিল।
কাউন্টার টেররিজম ইউনিট জানিয়েছে, হুমায়রা রাজধানীর একটি বিলাসবহুল শপিং মলের মালিকের মেয়ে। তিনি ভিকারুন্নিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করার পর নর্থ-সাউথ ইউনিভার্সিটি থেকে বিবিএ শেষ করেন। পরে মালয়েশিয়ার একটি ইউনিভার্সিটি থেকে মাস্টার্স করেন। তার স্বামী তানভীরও নর্থ-সাউথে পড়ালেখা করেছেন। সেখানেই স্বামীর সঙ্গে জঙ্গিবাদে জড়িয়ে পরেন হুমায়রা।
সিটিটিসি সূত্র জানায়, গত ১৯ নভেম্বর তানভীরকে গ্রেফতার করার পর হুমায়রা নব্য জেএমবির শীর্ষ নেতা আকরাম হোসেন খান নিলয়ের সঙ্গে যোগসাজশ করে কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। তানভীর কারাগারে থাকলেও নিলয় রিমান্ডে রয়েছেন। দুজনই হুমায়রার জঙ্গিবাদে সম্পৃক্ততার বিষয়ে তথ্য দেন। তবে হুমায়রা ওই সময়ে অন্তঃসত্ত্বা থাকায় তাকে গ্রেফতার না করে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছিল। আত্মগোপনে চলে যাওয়ার চেষ্টা করায় তাকে গত বুধবার রাতে গ্রেফতার করা হয়।