উচ্চ আদালতের বিচারপতি নিয়োগে আইনের খসড়া প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গেছে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘বিচারপতি নিয়োগে আইন প্রণয়নে সরকার সম্পূর্ণ একমত। শুধু আইন প্রনয়ণের প্রস্তুতি নয়, খসড়াও প্রায় তৈরি হয়ে গেছে। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যে এটা মন্ত্রিপরিষদে নিয়ে যেতে পারবো।’
আজ শনিবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর অফিসার্স ক্লাবে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল থেকে নতুন আইনজীবীদের মধ্যে সনদ বিতরণী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আইন পেশায় অব্যাহতির পরে আইনজীবীদের কল্যাণ ফান্ডের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আইনজীবীদের একটি ব্যানেভোলেন্ট ফান্ড (কল্যাণ তহবিল) রয়েছে। কিন্তু সেটা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত অপ্রতুল। আইনজীবীদের দীর্ঘদিনের দাবি অনুযায়ী এই ফান্ডে সরকারের পক্ষ থেকে ৪০ কোটি টাকা দেওয়া হবে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আইনজীবীদের সুবিধায় বার কাউন্সিলের একটি বহুতল ভবন নির্মাণের প্রস্তাব ইতোমধ্যে একনেকে পাশ করার জন্য পাঠানো হয়েছে।’ কিছুদিনের মধ্যেই এটি একনেকে পাস হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন নতুন আইনজীবীদের শপথবাক্য পাঠ করান।
বার কাউন্সিলের এনরোলমেন্ট কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. নুরুজ্জামান বলেন, নবীন আইনজীবীদের সিনিয়রদের সঙ্গে কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে হয়।
বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান সিনিয়র অ্যাডভোকেট আবদুল বাসেত মজুমদারের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন-বার কাউন্সিলের সদস্য ও কাউন্সিলের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরুএমপি, বার কাউন্সিলের নির্বাচিত সদস্য ও ফাইন্যান্স কমিটির চেয়ারম্যান সিনিয়র আইনজীবী শ.ম. রেজাউল করিম ও বার কাউন্সিলের সদস্য জেড আই খান পান্না।
এছাড়া অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বার কাউন্সিলের সদস্য ও সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির সম্পাদক ব্যরিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ বার কাউন্সিলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা, এনরোলমেন্ট কমিটির সদস্য বিচারপতি ভবানী প্রসাদ সিংহ, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবীরা।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বার কাউন্সিলের সদস্য অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু।
এ অনুষ্ঠানে ২০১৩ সালের ৬ এপ্রিল বার কউন্সিলে যুক্ত হওয়া ৩ হাজারের বেশি সদস্যের হাতে আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির সনদ তুলে দেওয়া হয়।