বিশ বছর আগে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হয়েছে। এ মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে বলিউড ভাইজান খ্যাত তারকা সালমান খানকে। বর্তমানে তিনি ১০৬ নম্বর কয়েদি হিসেবে যোধপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার সালমান খানের রায় ঘোষণা করেন দেব কুমার খত্রি নামের এক বিচারক।
এ দিকে সালমানের যোধপুর কারাগারে থাকার না থাকার বিষয়ে আজ শনিবার (৭ এপ্রিল) সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন যোধপুর দায়রা জজ রবিন্দ্র কুমার জোসি। কিন্তু রাজস্থান হাইকোর্টের ওই দুই বিচারকসহ ৮৭ বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাকে বদলি করেছে বলে জানানো হয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে।
খবরে বলা হয়, বিচারক জোসিকে যোধপুর থেকে রাজস্থানের সিরোতে বদলি করা হয়েছে। সেখানে তিনি পেয়েছেন বিচারক চন্দ্রকুমার সনগারার স্থান। আর বিচারক খত্রিকে উদয়পুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সামেরেন্দ্র সিং সিকারওয়ারের স্থানে বদলি করা হয়েছে।
হাইকোর্টের গঠিত কমিটির সুপারিশে রাজস্থানের বিচারকদের সাধারণত প্রতি বছর ১৫ থেকে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে বদলি করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার ২৮ জন সাক্ষীর উপস্থিতিতে প্রধান বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট দেব কুমার খত্রি সালমানের সাজার রায় দেন। এর আগে গত ২৮ মার্চ মামলার চূড়ান্ত আবেদন যোধপুরের একটি গ্রাম্য আদালতে সম্পন্ন হয়।
এই মামলায় সালমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, ১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিংয়ে যোধপুর প্রদেশের কাঙ্কানি গ্রামে গিয়েছিলেন। শুটিং চলাকালে ১ ও ২ অক্টোবর রাতে আলাদা আলাদা দুটি জায়গায় সালমান কৃষ্ণসার শিকার করেন।
পিটিআই-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দাবাং খান ভারতীয় বন্যপ্রাণী প্রতিরক্ষা দণ্ডবিধির ৫১ ধারার সম্মুখীন হয়েছেন। এই ধারা মোতাবেক তার সর্বোচ্চ ছয় বছর পর্যন্ত জেল হতে পারতো।