কয়েক মিলিয়ন ডলার জালিয়াতির মামলায় ভারতের দুই যুবককে ৫১৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দুবাইয়ের একটি আদালত। দুবাইয়ের বিশেষ বেঞ্চের বিচারক ড. মোহাম্মদ হানাফি এ আদেশ দেন।
তাদের বিরুদ্ধে করা ৫১৫টি মামলার মধ্যে ৫১৩ মামলার প্রত্যেকটির জন্য এক বছর করে এবং বাকি দুটি মামলার জন্য দুই বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। সব মিলিয়ে তাদের ৫১৭ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়।
অভিযুক্ত দুইজন হলেন ভারতের গোয়ার বাসিন্দা সিডনি লেমস এবং তার অ্যাকাউন্টট্যান্ট রায়ান ডিসুজা। জালিয়াতি করে তারা প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছেন। এদের মধ্যে সিডনির সঙ্গে নেইমার, জিকোর মত ফুটবলার এবং শচিন টেন্ডুলকারের মত ক্রিকেটারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল।
জানা গেছে, দুবাইয়ে পনজি স্কিম খুলে বেশ কিছুদিন ধরেই লোক ঠকাচ্ছিলেন তারা। একটি কোম্পানি খুলে লোকজনকে বোঝানোর চেষ্টা করে তার কোম্পানিতে ২৫ হাজার ডলার বিনিয়োগ করলে বছরে ১২০ শতাংশ ফেরত পাওয়া যাবে বলে জানানো হয়। এরপর প্রায় এক বছর গ্রাহকরা টাকা ফেরত পেলেও ২০১৬ সাল থেকে আর কোনো টাকা ফেরত দিচ্ছিল না সিডনির কোম্পানি।
সম্প্রতি এক গ্রাহক অভিযোগ করেন বিনিয়োগ করা সত্বেও বছরের শেষে তিনি কোনো টাকা ফেরত পাননি। এ নিয়ে তদন্তে নামে দুবাই ইকোনমিক ডিপার্টমেন্ট। ২০১৬ সালে তাদের প্রথমবার গ্রেপ্তার করা হয়। পরে জামিনে মুক্তিও পান সিডনি ও তার সহকারী। এরপর আবারো অভিযোগ উঠলে ২০১৭ সালের জানুয়ারিতে তাদের আবারো গ্রেপ্তার করা হয়। সবমিলিয়ে তাদের বিরুদ্ধে মোট ৫১৫টি মামলা হয়। এসব মামলায় দুইজনকে ৫১৭ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
দুবাই, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভার্জিন আইল্যান্ড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সিডনির কোম্পানির সেসব সম্পতি আছে সেগুলো বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কোম্পানির ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করে দিয়েছে পুলিশ।
এছাড়া সিডনির স্ত্রীর বিরুদ্ধেও মামলা করেছে দুবাই পুলিশ। তার বিরুদ্ধে সিডনির কোম্পানির নথি সরিয়ে ফেলার অভিযোগ আনা হয়েছে।
২০১৫ সালে প্রথম প্রচারের আলোয় চলে আসেন সিডনি। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে তিনি হয়ে যান এফসি গোয়ার প্রধান পৃষ্ঠপোষক। সূত্র: গালফ নিউজ