ঢাকায় অনলাইনে যৌন ব্যবসার অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট। গ্রেফতারের পর মাহতাব রফিক নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে ও পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান বলেন, মাহতাব রফিক অনলাইন ওয়েবসাইট খুলে এবং অনলাইনে সামাজিকমাধ্যমে পেজ খুলে যৌন ব্যবসা করছিলেন।
পুলিশ এখন পর্যন্ত অনলাইনে সামাজিক মাধ্যমে এ ধরনের ৮টি গ্রুপ এবং ৬টি পেজ খুঁজে পেয়েছে যেগুলোর অ্যাডমিন ছিলেন মি রফিক।
পেজগুলোতে বিজ্ঞাপনের মতো বিভিন্ন বয়সী মেয়েদের প্রোফাইল এবং যৌন উদ্দীপক ছবি দেয়া হতো। খরিদ্দাররা অনলাইনে প্রোফাইল দেখে তাদের আগ্রহ জানাতেন।
অত্যন্ত গোপনীয়তা রক্ষা করা হতো এসব অনলাইন গ্রুপ এবং পেজে। এ গ্রুপে সবাই ঢুকতে পারতেন না।
মাহতাব রফিকের বিরুদ্ধে আইসিটি এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।
ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, মাস দুয়েক আগে বিবিসির একটি প্রতিবেদনের সূত্র ধরে তারা অনলাইনে ঢাকায় ‘স্কর্ট সার্ভিস’ অর্থাৎ সঙ্গী সরবরাহের ব্যবসা চালানোর বিষয়ে অনুসন্ধান শুরু করে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিট।
অনুসন্ধান করতে গিয়ে পুলিশ বেশ কতগুলো সাইট এবং সামাজিক মাধ্যমে পেজের সন্ধান পায় যেগুলোর মাধ্যমে যৌনকর্মী সরবরাহের বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছিল।
মোহাম্মদ আলিমুজ্জামান বলেন, “আমরা আগে শুনেছি এসব হচ্ছে, কিন্তু অনুসন্ধানে আমরা তার প্রমাণ পেয়ে যাই। এসব পেজ খুলে যৌনকর্মী সরবরাহের সার্ভিস যেমন দেওয়া হচ্ছিল, একই সঙ্গে আগ্রহী খরিদ্দারদের ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছিল।
এসবের সাথে জড়িত থাকার জন্য পুলিশ সে সময় ৭ জনকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারা এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করে।
ডেপুটি কমিশনার জানান, এরপরও অনুসন্ধান অব্যাহত রাখি, এবং সেই প্রক্রিয়ায় সোমবার মাহতাব রফিককে ধরা হয়। এসব সাইট কারা ব্যবহার করত, কারা কারা এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, পুরো চক্রকে আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।
রফিক পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ব্রিটেন থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে দেশে গিয়ে গার্মেন্টস ব্যবসা করতেন। তিনি চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের একজন সদস্য বলেও দাবি করেছেন।