ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) জগন্নাথ হলের পেছনের গেটের বিপরীতে সাবেক প্রেমিক আলামিন হোসেনকে (২৫) ছুরিকাঘাতকারী ইডেন কলেজছাত্রী লাভলী ইয়াসমিন মিতার বিরুদ্ধ চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দিয়েছে পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার (১৮ এপড়ীল) ঢাকা মহানগর হাকিম গোলাম নবীর আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) শাহবাগ থানার উপ-পরিদর্শক অমল কৃষন দে। আদালত বাদীর উপস্থিতির জন্য ২১ মে দিন ধার্য করেন।
অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়, লাভলীর সঙ্গে মামলার ভিকটিম আল আমিনের পারিবারিকভাবে বিয়ের সিদ্ধান্ত হয়। লাভলীর পরিবার থেকে আল আমিনকে বলা হয়, ‘যেহেতু তোমার সঙ্গে বিয়ে ঠিক হয়ে আছে তাই লাভলীর পড়া লেখার খরচ তুমি চালিয়ে যাও’। এরপর আল আমিন লাভলীর পরিবারকে আবাসনের ব্যবস্থাসহ গরু কিনে দেন।
আলামিনের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে লাভলীর প্রেম ছিল। আলামিন চকবাজার ইসলামবাগ এলাকায় থাকেন। পেশায় প্লাস্টিক ব্যবসায়ী। কিছুদিন ধরে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এর জের ধরে গত ১৭ জানুয়ারি লাভলী জগন্নাথ হলের পেছনে বুয়েট ক্যাম্পাসে আল আমিনকে ডেকে নিয়ে এসে বলেন, ‘তুই এসএসসি পাস, আর আমি মাস্টার্সে পড়ি। তোর সঙ্গে আমার বিয়ে কখনও সম্ভব নয়। তুই আমাকে ভুলে যা। আর যদি না ভুলিস তোকে হত্যা করে ১০০ টুকরো করবো’।
এরপর লাভলী তার ভ্যানিটি ব্যাগ থেকে একটি ছুরি বের করে আলামিনকে আঘাত করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় আশপাশের লোকজন তাকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ ঘটনায় আল আমিনের চাচাতো ভাই আওলাদ হোসেন বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলা করেন।
আসামি লাভলী ইয়াসমিন মিতা বর্তমানে জামিনে আছেন। সে ইডেন মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্রী, বাড়ি ঝিনাইদহে। অপরদিকে আল আমিন চকবাজারের প্লাস্টিক ও ভাঙ্গারি ব্যাবসায়ী। তার বাড়িও ঝিনাইদহে।