চালকদের লাইসেন্স প্রদান, সড়ক দুর্ঘটনারোধসহ এ সংক্রান্ত ‘সড়ক পরিবহন আইন ২০১৭’ সংশোধনীর প্রস্তাব সংসদের বাজেট অধিবেশনে উত্থাপন করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
আজ রোববার (২২ এপ্রিল) রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে এক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান।
সংসদে আইনটি উত্থাপনের বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, আমার মনে হয় এই যে বাজেট সেশন আসছে সেখানে অন্ততপক্ষে আইনটা উত্থাপন করার মতো প্রস্তুতি আমাদের আছে।
জেলা ও দায়রাজজ এবং সমপর্যায়ের বিচারবিভাগীয় কর্মকর্তাদের এক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য শেষে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সড়ক পরিবহন আইন ২০১৭ খসড়া অনুমোদন হওয়ার পর এটা এখন তিনটা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলাপ-আলোচনায় আছে। মূলত আইনটা ভেটিং পর্যায় রয়েছে। যেহেতু এটা একটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আইন, সেহেতু আমরা এ আইনটা নিয়ে সব স্টেক হোল্ডাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করছি।
লাইসেন্সবিহীন চালকদের শাস্তির বিষয়টি ফোকাস হয়নি, এটা ঢালাওভাবে বলা যাবে না তার কারণ আমরা চেষ্টা করছি সড়ক পরিহবনে এ-টু-জেড সব কিছু দেখছি। এটা শুধু একটা আঙ্গিকে দেখলে হবে না। বিষয়টি হচ্ছে দুর্ঘটনা হলে কি হবে। দুর্ঘটনা যাতে না হয় সে জন্য তিন চারটা জিনিস দেখতে হয়। চালকদের প্রশিক্ষণ, লাইসেন্স প্রাপ্তি ও গাড়ির ফিটনেসের বিষয় ও তারপর বিষয় হচ্ছে রাস্তা। সেই সব দিক দেখে এটাকে একটা পরিপূর্ণ আইন করার জন্য সময় লাগছে। এমন না যে এখন কোনো আইন নাই। যুগ উপযোগী আইন করতে একটু সময় লাগছে।
আইনের বিষয়ে তিনি বলেন, সড়ক পরিবহনের সঙ্গে জড়িত যা কিছু আছে সবকিছুকে কিন্তু এই আইনের মাধ্যমে এড্রেস করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা ঘটছে এতে আমি অত্যন্ত ব্যথিত ও দুঃখিত। আমি শুধু এটাই বলবো, এই গুলোর মামলা যখন আদালতে আসবে তখন অত্যন্ত পক্ষে এটুকু নিশ্চিত করবো শাস্তির মাধ্যমে যাতে সতর্কতা বৃদ্ধি হয়। যেই শাস্তি দেওয়া হবে চালক মালিকরা যাতে বুঝতে পারে এ রকম অপরাধ করে পার পাওয়া যাবে না। এমন অপরাধ করলে বিচার বিভাগ যথার্থ সাজা তাদের দেবে। বিচার তড়িৎ করার ব্যাপারে আমরা আগ্রহী।
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়ার বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ফিরিয়ে আনার আলোচনা চলছে।
বন্দি বিনিময় চুক্তি না থাকার বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, চুক্তি না থাকলেও এ চুক্তি করতে তো বাধা নেই। মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্ট অ্যাক্ট বলে একটা আইন আছে, সেখানে কিছু কিছু অপরাধীদের বন্দিবিনিময় চুক্তি না থাকা সত্ত্বেও আমরা কিন্তু আনতে পারি। সেই মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসটেন্ট অ্যাক্ট আমাদের দুই দেশেরই আছে। এটা কিন্তু জাতিসংঘের ধার্যকৃত একটা আইন। সেই সহযোগিতাও এই দুই দেশের মধ্যে আছে।
একজন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে ফিরিয়ে আনার জন্য যে আলোচনা বা যাদের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন সেটা চলছে। আলোচনায় পজিটিভ দিক দেখছি বলেই আলোচনা চলছে।