সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল নয়, যৌক্তিক ও গ্রহণযোগ্য সংস্কার প্রয়োজন বলে মনে করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। এ ক্ষেত্রে কমিটি কোটা পদ্ধতি ‘সহজীকরণের’ কথা বলেছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে ব্যাপক আলোচনার মধ্যে রোববার (২২ এপ্রিল) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আলোচ্যসূচিতে না থাকলেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব জানান, কোটাপদ্ধতি নিয়ে তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার অপেক্ষায় আছেন। নির্দেশনা পেলেই তাঁরা পরবর্তী কাজ শুরু করবেন।
কমিটির সভাপতি এইচএন আশিফুর রহমানের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক, এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী, র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী, মুস্তফা লুৎফুল্লাহ, খোরশেদ আরা হক এবং জয়া সেনগুপ্তা অংশ নেন।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সংসদীয় কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, ইতিহাসের প্রতি, দেশের প্রতি, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রতি কিছু দায়বদ্ধতা আছে। সংবিধানে সমতাবিধানের (ইকুইটি) কথা বলা আছে। এসব বিষয় বিবেচনা নিয়ে যুক্তিযুক্তভাবে কোটাপদ্ধতি সংস্কার করা প্রয়োজন, যাতে এটা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। পাশাপাশি এটা নিয়ে যেন কোনো ষড়যন্ত্র বা দুরভিসন্ধি না হয়। কমিটি কোটাপদ্ধতি সহজীকরণের কথা বলেছে।
সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান ৫৬ শতাংশ কোটা সংস্কারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সারা দেশে আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের আন্দোলনের মুখে ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে কোটাপদ্ধতি বাতিলের ঘোষণা দেন। তবে তিনি বলেছিলেন, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রধানমন্ত্রী এ-ও বলেছিলেন, প্রয়োজন হলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব আছেন তিনি বিষয়টি দেখবেন।