শুভ্র সিনহা রায়: ছয় বছর আগে মারা যান পলাশ ধরের (ছদ্ম নাম) বাবা প্রমথ ধর। মৃত্যুর আগে ভীষণ অসুস্থ প্রমথ ধরের কাছ থেকে একটি সাদা কাগজে সই করিয়ে নেন তাঁর ভাইয়েরা। সেই সইয়ের নিচে তা সত্যায়িত করতে জোর করে পলাশের মায়ের সইও নেওয়া হয়।
পলাশের দাদা অনেক আগে মারা গেলেও তাঁর ঠাকুরমা এখনো জীবিত। তবে বর্তমানে তিনিও মৃত্যুপথযাত্রী। পলাশদের সব সম্পত্তি এখনো প্রমথ ধরের নামে থাকলেও দাদার সম্পত্তি এখনো ভাগ হয়নি।
পলাশরা দুই ভাই ও এক বোন। বর্তমানে তাঁরা সবাই সাবালক। তাঁদের মা জীবিত। সাদা কাগজে বাবার সই নেওয়ার কথা জানতে পেরে চিন্তায় পড়ে যান পলাশ। মনে ভয় হয়, তাঁদের জমি যদি কাকারা নিয়ে নেন? অথবা অন্য কোনো ধরনের ক্ষতি যদি করে?
যদি এমন কিছু হয় তাহলে পলাশ ও তাঁর ভাই বোনরা কোনো প্রতিকার পাবেন কি না, তা জানতে তিনি যোগাযোগ করেন একজন আইনজীবীর সঙ্গে। পলাশকে দেওয়া সেই আইনজীবীর পরামর্শ পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হলো।
আইনজীবীর ভাষ্য
আসলে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে রাখলে আইনত এর কোনো ভিত্তি নেই। কোনো জমি হস্তান্তর করতে হলে আইন অনুযায়ী নির্ধারিত পদ্ধতিতে জমি হস্তান্তর করতে হবে এবং আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রি করতে হবে।
কোনো দানপত্র দলিল সম্পন্ন করতে হলে স্বেচ্ছায় দান করতে হবে এবং তা হস্তান্তর করতে হবে।
এ ছাড়া আপনি যদি মনে করেন, কোনো ব্যক্তি আপনার কোনো ক্ষতি করতে পারে, তাহলে কাছের থানায় সাধারণ ডায়েরি করে রাখতে পারেন।
যদি কোনো জাল দলিল তৈরি করে, তাহলে দেওয়ানি ও ফৌজদারি আদালতে সুনির্দিষ্ট আইনে মামলা করে দোষী ব্যক্তির শাস্তি নিশ্চিত করা যাবে।
লেখক: আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট