টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও পৌর কাউন্সিলর একরামুল হকের নিহত হওয়ার বিষয়টি একজন ম্যাজিস্ট্রেট তদন্ত করবেন বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
আজ শনিবার (২ জুন) দুপুরে ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন মন্ত্রী।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ওই ম্যাজিস্ট্রেট্রের দেয়া রিপোর্ট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। কেউ যদি প্রলুব্ধ হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
একরামুল হকের স্ত্রীর দেয়া একটি অডিও রেকর্ড শুক্রবার প্রকাশিত হয় বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে। এরপর একরামুল হক বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন- র্যাবের এমন দাবি প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
একরামের মৃত্যু সম্পর্কে জানা গেছে, ২৯ মে দিবাগত রাত ১টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের নোয়াখালিয়াপাড়ায় র্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন টেকনাফ পৌরসভার তিনবার নির্বাচিত কাউন্সিলর একরামুল হক। তিনি টেকনাফ পৌরসভার কায়ুকখালী পাড়ার মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে। এছাড়াও তিনি টেকনাফ উপজেলা যুবলীগের ১৩ বছর দায়িত্বপালনকারী সাবেক সভাপতি, টেকনাফ বাস স্টেশন ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও টেকনাফ মাইক্রো শ্রমিক ইউনিয়নের আহ্বায়ক ছিলেন।
অপরদিকে, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ কাউন্সিলর একরামুল হক নিহত হবার ঘটনায় র্যাব-৭ কক্সবাজার ক্যাম্প থেকে ই-মেইলে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তার বাবার নাম উল্লেখ করা হয়েছে মোজাহার মিয়া ওরফে আবদুস সাত্তার। বাড়ি টেকনাফ পৌরসভার নাজিরপাড়া। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের তালিকাভুক্ত শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী, শীর্ষ গডফাদার, তার বিরুদ্ধে টেকনাফ থানায় মাদক আইনে মামলা রয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয় প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে।
সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলছেন, ‘আপনারা এত কথা বলছেন…একরামের পরিবারের থেকে কেউ আমাদের কাছে কোনো অভিযোগ করেননি।’
মন্ত্রী আরও বলেন, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়, কেউ যদি স্বপ্রণোদিত হয়ে এই কাজ করে তাহলে তার বিচার অবশ্যই হবে। আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, রিপিট করে বলতে চাই, কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত অডিও প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, অডিওটি অফিসিয়ালি আমাদের কাছে আসেনি। কেউ অফিসিয়ালি এই ঘটনার তথ্য দেয়নি। অডিও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে যা করার করবো। কেউই আইনের উর্ধ্বে নয়।
অডিও শুনে কি এটা মাদকবিরোধী অভিযানের বন্দুকযুদ্ধ মনে হয়েছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘মাদকবিরোধী অভিযান চলবে, মাদকের কারণে যুব সমাজ পথ হারাবে, মেধা হারিয়ে যাবে। সর্বস্তরের মানুষ এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে। তালিকা ধরে অভিযান চালানো হচ্ছে। জড়িতদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। অপরাধীকে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাজা দেয়া, মামলা দেয়া হচ্ছে। নিরপরাধকে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে।’