কুমিল্লার হোমনা-মেঘনা নিয়ে গঠিত জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকা বাতিল করে নির্বাচন কমিশনের নেওয়া সিদ্ধান্ত কেন বাতিল ঘোষণা করা হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে আজ রোববার (৩ জুন) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশন সচিব, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক, আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন অফিসার, মেঘনা, হোমনা, তিতাস ও দাউদকান্দির উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অমিত তালুদকার। রুল জারির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন অমিত তালুকদার।
পরে মনজিল মোরসেদ জানান, সীমানা পুনঃনির্ধারণের ক্ষেত্রে আইনের বিধান অনুসারে প্রশাসনিক সুবিধা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা বিবেচনা করার সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন গত ৩০ এপ্রিল ওই আসনের গেজেট প্রকাশ করে, যেখানে আইনকে উপেক্ষা করা হয়েছে।
চলতি বছরের ১৪ মার্চ নির্বাচন কমিশন এসব এলাকার সীমানা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। ওই সিদ্ধান্তের আপত্তি থাকা সত্ত্বেও গত ৩০ এপ্রিল নির্বাচন কমিশন হোমনা-তিতাসকে কুমিল্লা-২ এর সংসদীয় আসনে যুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করে। ওই গেজেটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মেঘনা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সহ-সভাপতি তাজুল ইসলাম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মো. নাছির উদ্দিনসহ আটজন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুল জারি করেন।
রুলে ৩০ এপ্রিলের গেজেট বাতিল এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হোমনা-মেঘনাকে একত্র রেখে সংসদীয় এলাকা কেন ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন বলে জানান মনজিল মোরসেদ।
এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা হোমনা-মেঘনা আসন চাই। কারণ মেঘনা হোমনারই অংশ। এখানে দাউদকান্দিকে যোগ করার কোনো যৌক্তিকতা নেই।