ভিক্ষাবৃত্তি বন্ধে ২০০৪ সালেই আইন করা হয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে। তার পরেও কেউ ভিক্ষা করলে তিনি আইনের আওতায় আসেন।
কাতারের দণ্ডবিধির ১১ নম্বর অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, রাস্তাঘাটে কিংবা জনপরিসরে ভিক্ষা করলে অন্তত তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে ওই ব্যক্তির কাছে থাকা অর্থ জব্দও করার আদেশ দিতে পারবেন বিচারক।
যারা দীর্ঘদিন ধরে কাতারে বসবাস করছেন, তাদের কাছে অবশ্য এটা পরিচিত দৃশ্য যে, শুক্রবার মসজিদের বাইরে এবং রমযান মাসে ভিক্ষাবৃত্তি করেন কিছু মানুষ।
তবে ২০১০ সালের পর থেকে ব্যাপক ধরপাকড়ের ফলে সেই দৃশ্য অনেকটাই কমে গেছে। কিন্তু, কেউ যদি নিজের থেকে কিছু পরিমাণ অর্থ কাউকে সহায়তা করতে চান, সে ক্ষেত্রে তিনি কাকে দেবেন সেই অর্থ?
সরকারিভাবে পরিচালিত দাতব্য সংস্থায় সামর্থবানদের যাকাতের অর্থ দিয়ে দেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। পরে সংস্থার তরফে তা গরীবদের মাঝে বন্টন করে দেওয়া হয়।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বেশ কয়েকটি নম্বরও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সে দেশের বাসিন্দাদের। যাতে করে কোনো এলাকায় কেউ ভিক্ষা করলে সেই নম্বরে অভিযোগ করা যায়।
তবে আর্থিকভাবে অসচ্ছল কারো পরিবারের সদস্য অসুস্থ হলে কিংবা তাকে ওই এলাকার বাসিন্দারা একত্রে চাঁদা তুলে সাহায্য করলে তা অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে না।