প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন হাইকোর্টে বিভাগে নবনিযুক্ত ১৮ বিচারপতি।
সোমবার সকাল ১১টায় সুপ্রিমকোর্টে প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ হয়।
সুপ্রিমকোর্টের স্পেশাল অফিসার মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ৩১ মে নিয়োগ পাওয়া বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের ১৮ জন অতিরিক্ত বিচারপতিকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধান বিচারপতি।
শপথ নেয়া নতুন ১৮ বিচারপতি হলেন- আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারক হিসেবে দায়িত্বপালন করে আসা মো. আবু আহমেদ জমাদার, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এস এম আব্দুল মবিন, আইন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান, নরসিংদীর জেলা ও দায়রা জজ ফাতেমা নজীব, ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা, ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ এস এম কুদ্দুস জামান, ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ মো. আতোয়ার রহমান, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খিজির হায়াত, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শশাংক শেখর সরকার, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ আলী, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মহি উদ্দিন শামীম, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. রিয়াজ উদ্দিন খান, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মো. খায়রুল আলম, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান, সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী আহমদ সোহেল, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল খোন্দকার দিলীরুজ্জামান ও সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ড. কে এম হাফিজুল আলম।
গত ৩ মে সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে ১৮ জনকে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ দেয় আইন মন্ত্রণালয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে আইন ও বিচার বিভাগ সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সংবিধানের ৯৮ অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে দুই বছরের জন্য ১৮ অতিরিক্ত বিচারককে নিয়োগ দেয়া হলো। শপথের দিন থেকে তাদের নিয়োগ কার্যকর হয়।
উল্লখ্য, সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে ১০ জন বিচারপতি নিয়োগ করা হয়। তখন উচ্চ আদালতে বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়ায় ১০৫ জনে। এরপর গত তিন বছরে কোনো নিয়োগ না হওয়ায় বর্তমানে বিচারপতির সংখ্যা এসে দাঁড়িয়েছে ৮৪ জনে-আপিল বিভাগে ৪ জন এবং হাইকোর্টে ৮০ জন।