২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যক্তি খাতে কর দাতাদের আয়ের সিমা অপরিবর্তিত রাখার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। ব্যবসায়ীদের দাবি ছিলো বাড়িয়ে ৩ লাখ টাকা করা। কিন্তু এই বছরও বাজেটে ব্যক্তি করদাতাদের আয়ের সীমা আড়াই লাখ রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৭ জুন) জাতীয় সংসদে অর্থমন্ত্রী চার লাখ ৬৪ হাজার ৫৭৩ কোটি টাকার বাজেট পেশকালে বলেন, বাজেটে ব্যক্তি করদাতাদের আয়ের সীমা ২ লাখ ৫০ হাজার টাকার রাখার প্রস্তাব করছি। একই সঙ্গে নারী ও ৬৫ বছর কিংবা তার বেশি বয়স্কদের ক্ষেত্রে ৩ লাখ, প্রতিবন্ধীদের জন্য ৩ লাখ ৭৫ হাজার এবং মুক্তিযোদ্ধাদের ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত করমুক্ত আয়ের সীমা রাখার প্রস্তাব করছি।
তবে এর আগে অর্থবছরের মতোই ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা থেকে চার লাখ টাকা পর্যন্ত ১০ শতাংশ, ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫ শতাংশ, আবার ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা পর্যরন্ত ২০ শতাংশ এবং ৬ থেকে ৩০ লাখ পর্যন্ত ২৫ শতাংশ কর এবং ৩০ লাখ টাকার বেশি হলে অতিরিক্ত আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর আরোপ করার প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী।
প্রস্তাবিত এই ব্যয় বিদায়ী ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ২৫ শতাংশ বেশি। বৃহস্পতিবার (৭ জুন) দুপুর পৌনে একটার দিকে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশন শুরু হয়।
এর আগে অর্থমন্ত্রী প্রথা অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংসদ অধিবেশন কক্ষে যান। পরে অনুমতি নিয়ে প্রথমে ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট পেশ করেন। এরপর শুরু করেন ২০১৮-১৯ সালের প্রস্তাবিত বাজেট উত্থাপন।
এর আগে মন্ত্রিসভার অনুমোদনের পর ওই প্রস্তাবে সই করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
২০১৮-১৯ অর্থবছরের মূল বাজেটের আকার বাংলাদেশের মোট জিডিপির ১৮.৩ শতাংশ। গতবছর প্রস্তাবিত বাজেট ছিল জিডিপিরি ১৮ শতাংশ। এবারের বাজেটে উন্নয়ন ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬৬৯ কোটি টাকা; যার ১ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হবে সরকারের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি)।
আর অনুন্নয়ন খাতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৮২ হাজার ৪১৫ কোটি টাকা, যা বিদায়ী অর্থবছরের সংশোধিত অনুন্নয়ন বাজেটের চেয়ে ৩৪ শতাংশ বেশি।