৩৩ বছর আগে কক্সবাজারের লবণচাষিদের মধ্যে বিতরণের জন্য ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের ৫৩ লাখ টাকা আত্মসাতের মামলায় ২৯ জনকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একইসঙ্গে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৩৭ আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মীর রুহুল আমীন এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী দুদকের পিপি মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, ১৯৮৫ সালের ৪ ডিসেম্বর কক্সবাজারের রামু থানায় ৫৩ লাখ সাত হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ৬৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর পরিদর্শক খন্দকার মইনুল ইসলাম।
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী ১৯৮৫ সালের বিভিন্ন সময়ে দেশের উপকূলীয় এলাকায় লবণচাষীদের ঋণ বিতরণের জন্য স্থানীয় ৩০টি ভুয়া লবণচাষি সমিতি ও সংগঠন রূপালী ব্যাংকের রামু শাখা থেকে ৫৩ লাখ সাত হাজার টাকা উত্তোলন করে। কিন্তু এই অর্থ লবণচাষিদের না দিয়ে আত্মসাৎ করা হয়।
এই ঘটনায় মামলা হওয়ার পর ১৯৯৪ সালের ১ মার্চ আদালতে আসমিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়।
আইনজীবী মেজবাহ জানান, ২৯ জনকে সাজার পাশাপাশি অভিযুক্ত সমিতি ও সংগঠনগুলোকে আত্মসাৎ করা অর্থের সমপরিমাণ জরিমানাও করেছে আদালত।
সাজাপ্রাপ্ত আসমিদের সবাই পলাতক আছেন। এদের মধ্যে বড়ুয়াখালী লবণ উৎপাদন সমিতির তৎকালীন সভাপতি লাল মিয়া, ফতোয়ারকূল ইউনিয়ন পরিষদের তখনকার চেয়ারম্যান ওবায়দুল হকও রয়েছেন।